spot_img

কোন বয়সে কতটুকু ঘুম প্রয়োজন

অবশ্যই পরুন

মানুষের প্রতিদিন কত ঘণ্টা ঘুমানো দারকার—এই প্রশ্নের উত্তর বিজ্ঞানের ভিত্তিতে নির্ভর করে বয়স, শরীরের প্রয়োজন এবং জীবনযাত্রার ওপর। ঘুম আমাদের শরীর ও মনের সুস্থতার জন্য অপরিহার্য। পর্যাপ্ত ঘুম না হলে শরীর ও মন ঠিকমতো কাজ করতে পারে না। তাই, বিজ্ঞানীরা ঘুমের প্রয়োজনীয়তা নিয়ে অনেক গবেষণা করেছেন এবং একটি গাইডলাইন তৈরি করেছেন, যা সহজ ভাষায় ব্যাখ্যা করা হলো।

বিভিন্ন বয়সের মানুষের ঘুমের প্রয়োজন আলাদা হয়। যুক্তরাষ্ট্রের ন্যাশনাল স্লিপ ফাউন্ডেশন-এর সুপারিশ অনুযায়ী, বয়সভিত্তিক ঘুমের সময়সীমা হলো:

শিশু (০-৩ মাস): ১৪-১৭ ঘণ্টা

শিশু (৪-১১ মাস): ১২-১৫ ঘণ্টা

শিশু (১-২ বছর): ১১-১৪ ঘণ্টা

প্রাক-বিদ্যালয় শিশু (৩-৫ বছর): ১০-১৩ ঘন্টা

বিদ্যালয়গামী শিশু (৬-১৩ বছর): ৯-১১ ঘন্টা

কিশোর (১৪-১৭ বছর): ৮-১০ ঘন্টা

যুবক (১৮-২৫ বছর): ৭-৯ ঘন্টা

প্রাপ্তবয়স্ক (২৬-৬৪ বছর): ৭-৯ ঘন্টা

বয়স্ক (৬৫ বছরের উপরে): ৭-৮ ঘন্টা

ঘুম শুধুমাত্র বিশ্রাম দেওয়ার জন্য নয়, এটি শরীরের অনেক গুরুত্বপূর্ণ কার্যকলাপের জন্য প্রয়োজন। যথাযথ ঘুম শরীরের হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, মস্তিষ্কের তথ্য প্রক্রিয়াকরণে সাহায্য করে, এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। ঘুমের সময় আমাদের মস্তিষ্ক দিনভর পাওয়া তথ্যগুলো সংরক্ষণ করে এবং শরীরের কোষগুলো মেরামত হয়।

ঘুমের উপকারিতা

পর্যাপ্ত ঘুম আমাদের মনকে শান্ত রাখে এবং মানসিক চাপ কমায়। যারা পর্যাপ্ত ঘুম পান না, তারা হতাশা এবং উদ্বেগের সমস্যায় বেশি ভোগেন। ঘুম স্মৃতিশক্তি এবং চিন্তা করার ক্ষমতা বাড়ায়। যারা যথাযথ ঘুমান, তারা তথ্য শিখতে এবং মনে রাখতে বেশি সক্ষম।

ঘুম আমাদের শরীরের শক্তি পুনরুদ্ধার করে এবং রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম শারীরিক সুস্থতা বজায় রাখতে সাহায্য করে।

পর্যাপ্ত ঘুম হরমোনের ভারসাম্য রক্ষা করে, যা আমাদের ক্ষুধা এবং ওজন নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। কম ঘুম ওজন বৃদ্ধির সাথে সম্পর্কিত।

পর্যাপ্ত ঘুম না হলে কী হয়?

যদি কেউ পর্যাপ্ত ঘুম না পায়, তবে শরীরে বিভিন্ন সমস্যা দেখা দিতে পারে।

যেমন, কম ঘুম মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমায় এবং স্মৃতি দুর্বল করে। পর্যাপ্ত ঘুমের অভাবে মানুষ সহজেই রেগে যায় বা হতাশাগ্রস্ত হয়ে পড়ে এবং মেজাজ খিটখিটে হয়।

দীর্ঘ সময় ধরে কম ঘুম উচ্চ রক্তচাপ, হৃদরোগ, ডায়াবেটিসের ঝুঁকি বাড়ায়। কম ঘুমানোর ফলে ক্ষুধা নিয়ন্ত্রণের হরমোনের ভারসাম্য নষ্ট হয়, যা বেশি খাওয়ার প্রবণতা তৈরি করে। ফলে শরীর মুটিয়ে যায়।

প্রতিদিন সঠিক পরিমাণে ঘুম আমাদের দৈনন্দিন কাজকর্মের জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। বিজ্ঞান বলছে, বয়সভেদে সবার ঘুমের প্রয়োজন আলাদা হতে পারে, কিন্তু ৭-৯ ঘন্টা ঘুম একজন প্রাপ্তবয়স্ক মানুষের জন্য আদর্শ। তাই, সুস্থ জীবনযাপনের জন্য আমাদের ঘুমকে প্রাধান্য দিতে হবে এবং নিয়মিত ঘুমানোর অভ্যাস গড়ে তুলতে হবে।

সর্বশেষ সংবাদ

গুমের ঘটনায় শেখ হাসিনার সম্পৃক্ততা খুঁজে পেয়েছে কমিশন

মানবাধিকার লঙ্ঘনের জন্য দায়ী অভিযুক্ত করে র‌্যাপিড অ্যাকশন ব্যাটালিয়নকে (র‌্যাব) বিলুপ্ত করার সুপারিশ করেছে গুম সংক্রান্ত কমিশন অব ইনকোয়ারি।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ