বিটকয়েনের দাম যেনো প্রতিনিয়ত বেড়েই চলছে। বিশেষ করে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ডোনাল্ড ট্রাম্পের জয়ের পর বিটকয়েনের ঊর্ধ্বমুখিতা যেনো নতুন নতুন রেকর্ড করছে। বর্তমানে বিটকয়েনের দাম ৯০ হাজার মার্কিন ডলারের কাছাকাছি পৌঁছেছে।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে সদ্যবিজয়ী ট্রাম্প দায়িত্ব নেয়ার পর এই ডিজিটাল মুদ্রা-বান্ধব নীতি নেবেন, এমন প্রত্যাশা থেকেই বাড়ছে বিটকয়েনের দাম। (খবর আলজাজিরার)
মঙ্গলবার (১২ নভেম্বর) বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ক্রিপ্টোকারেন্সি ৮৯ হাজার ৬৩৭ মার্কিন ডলারের নতুন রেকর্ড ছুঁয়েছে। নির্বাচনের দিন থেকে এই মুদ্রাটি ৩০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধি পেয়েছে। এদিকে বিনিয়োগকারীরা আশা করছেন, ট্রাম্পের অধীনে ওয়াশিংটন আরও ক্রিপ্টো-বান্ধব নীতির দিকে ঝুঁকবে।
যদিও প্রথম মেয়াদে প্রেসিডেন্ট থাকাকালে ট্রাম্প বিটকয়েনকে ভালোভাবে নেননি। একে ‘প্রতারণা’ বলে উল্লেখ করার পাশাপাশি ডলারের বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছে বলেও অভিযোগ করেন তিনি।
যদিও এবারের নির্বাচনী প্রচারণার সময় ট্রাম্প নাটকীয়ভাবে নিজের অবস্থান বদলান এবং নিজেকে ক্রিপ্টো সমর্থক হিসেবে উপস্থাপন করেন। এমনকি গত সেপ্টেম্বরে পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে নিয়ে নিজস্ব ক্রিপ্টো প্রতিষ্ঠান “ওয়ার্ল্ড লিবার্টি ফাইন্যান্সিয়াল” চালুর ঘোষণা দেন ট্রাম্প।
এ বিষয়ে সিডনির এটিএফএক্স গ্লোবালের প্রধান বাজার বিশ্লেষক নিক টুইডেল বলেন, ‘ট্রাম্প এই শিল্পের সমর্থক। এটি স্পষ্টতই তার বাণিজ্য নীতির ফল। এর ফলে ক্রিপ্টো শেয়ার ও মুদ্রার চাহিদা আরও তৈরি হবে।’
এসময় তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের ফলাফল আসার সময় বিটকয়েন সর্বোচ্চ দামের কাছাকাছি লেনদেন করছিল। এর মানে এটি আরও ঊর্ধ্বমুখী হতে পারে।
উল্লেখ্য, সারাবিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের বিটকয়েন নিয়ে আগ্রহ থাকলেও বিশ্বজুড়ে মানুষের ব্যাপক আগ্রহ থাকলেও ক্রিপ্টোকারেন্সিকে সাধারণত ঝুঁকিপূর্ণ সম্পদ হিসেবে দেখা হয়। এর পাশাপাশি এদের মূল্যও সবসময় ওঠানামা করে।
বিগত ২০২১ সালের শেষের দিকে বিটকয়েন সর্বোচ্চ ৬৯ হাজার ডলারে উঠেছিল। তবে তার পরের বছর ১৬ হাজার ডলারে নেমে যায়। ২০২২ সালের নভেম্বর থেকে ৩০০ শতাংশের বেশি বৃদ্ধির পরে মার্চ মাসে এটি তার আগের উচ্চতায় ফিরে আসে।