ইরাকে গণতন্ত্রপন্থী সক্রিয় কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর হামলা অনেক বেড়ে যাওয়ায় অক্টোবরের পার্লামেন্ট নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানানো হয়েছে। দুষ্কৃতকারীরা ধরাছোঁয়ার বাইরে থাকার প্রতিবাদ জানাতে এমন আহ্বান জানানো হয়। খবর এএফপি’র।
২০১৯ সালে সরকারের দুর্নীতি ও অযোগ্যতার বিরুদ্ধে আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ার পর থেকে ৭০ জনেরও বেশি সক্রিয় কর্মীকে হত্যা অথবা হত্যা প্রচেষ্টা ও অপহরণ করা হয়েছে।
দীর্ঘদিন ধরে চলা আন্দোলনের প্রধান দাবির প্রেক্ষিতে ইরাকের বিভিন্ন নির্বাচনের তারিখ নির্ধারণ করা হয়। ২০১৯ সালের অক্টোবর থেকে ২০২০ সালের জুন পর্যন্ত এ আন্দোলন করা হয়। দেশটিতে গণতন্ত্রপন্থী কর্মীদের এ আন্দোলন চলাকালে বিক্ষোভকারীরা ইরাকে ইরানের প্রভাবের বিরুদ্ধেও বিক্ষোভ-সমাবেশ করে।
এসব হামলার পেছনে কলকাঠি নাড়া ব্যক্তিরা অব্যাহতভাবে রেহাই পেয়ে যাওয়ায় আরো জোরালোভাবে নির্বাচন বয়কটের আহ্বান জানানো হয়।
সরকারবিরোধী ক্যাম্পেইনার ইহাব আল-ওয়াজনি গত ৯ মে কারবালা নগরীতে এক বন্দুক হামলায় নিহত হওয়ার পর পদত্যাগ করেন আইনপ্রণেতা ফায়েক আল-শেখ আলী।
কারবালা শিয়া অনুসারীদের কাছে অত্যন্ত পবিত্র নগরী।
ওয়াজনির হত্যার ঘটনার পর তিনি বলেন, ‘আইনসভার নির্বাচন থেকে আমি সরে দাঁড়ানোর ঘোষণা দিচ্ছি।’
গণতন্ত্রপন্থী কর্মী ও সাংবাদিকদের ওপর এ ধরনের হামলার প্রতিবাদ জানাতে নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা থেকে সরে দাঁড়াতে তিনি এ আন্দোলনের অন্য নেতাদের প্রতিও আহ্বান জানান।