প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সরকার ও জনগণের পক্ষ থেকে কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের নবনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী কিম বু-কিয়ামকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়েছেন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার এক অভিনন্দন বার্তায় বলেন, তিনি আশাবাদী যে, কিম তার রাজনৈতিক প্রজ্ঞা ও নেতৃত্বের মাধ্যমে সফলভাবে তার দেশকে বৃহত্তর শান্তি ও সমৃদ্ধির দিকে নিয়ে যাবেন।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ এবং দক্ষিণ কোরিয়ার মধ্যে দ্বিপাক্ষিক সম্পর্ক পারস্পরিক বিশ্বাস, শান্তির প্রতি দৃঢ় প্রত্যয়, সুরক্ষা এবং সকলের জন্য সমৃদ্ধি দ্বারা প্রকাশিত। তিনি কোরিয়া প্রজাতন্ত্রের সাথে বাংলাদেশের ঘনিষ্ঠ, বন্ধুত্বপূর্ণ এবং বহুমুখী সম্পর্কের গভীরতার ওপর গুরুত্বারোপ করেন, যা সাম্প্রতিক বছরগুলোতে আরও জোরদার হয়েছে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘আমি আন্তরিকভাবে বিশ্বাস করি আমাদের বন্ধুত্ব এবং সহযোগিতার যে ব্যাপক সম্ভাবনা রয়েছে তাকে বৃহত্তর বাণিজ্য, বিনিয়োগ, মানব সম্পদ উন্নয়ন এবং কারিগরি সহযোগিতার জন্য দুই দেশের জনগণের স্বার্থে কাজে লাগনো যেতে পারে।’
শেখ হাসিনা বাংলাদেশের অবকাঠামো এবং আর্থসামাজিক উন্নয়নে কোরিয়ার বিনিয়োগকে উৎসাহিত করেন। তিনি জাতির পিতার স্বপ্নের উন্নত সমৃদ্ধ সোনার বাংলাদেশ বিনির্মাণে দক্ষিণ কোরীয় সরকারের সহযোগিতায় গভীর সন্তোষ প্রকাশ করেন।
তিনি বিভিন্ন আঞ্চলিক এবং বৈশ্বিক বিষয়ে কোরিয়া সরকারের সঙ্গে তাঁর সরকারের নিবিড়ভাবে কাজ করার আগ্রহ ব্যক্ত করেন। এ প্রসঙ্গে তিনি রোহিঙ্গা শরণার্থীদের নিজ দেশে দ্রুত, নিরাপদ এবং টেকসই প্রত্যাবাসনের ওপর গুরুত্বারোপ করে এই অঞ্চলের শান্তি, স্থিতিশীলতা এবং নিরাপত্তার জন্যই এটি জরুরী বলে উল্লেখ করেন।
শেখ হাসিনা বলেন, ঝুলে থাকা সমস্যাটি এই অঞ্চলের স্থিতিশীলতা বিনষ্টের কারণ হতে পারে। তিনি বিভিন্ন ফোরামে বিশেষ করে জাতিসংঘে কোরিয়ার অব্যাহত সম্পৃক্ততার প্রশংসা করেন। একইসঙ্গে তিনি সুবিধাজনক সময়ে কোরিয়ার প্রধানমন্ত্রীকে বাংলাদেশ সফরেরও আমন্ত্রণ জানান।