মুসলিম সম্প্রদায়ের সবচেয়ে বড় ধর্মীয় উৎসব ঈদুল ফিতর উপলক্ষে বেনাপোল স্থলবন্দরের সঙ্গে ভারতের পেট্রাপোল বন্দরের টানা তিন দিন আমদানি-রফতানি বন্ধ থাকবে। তবে এ সময় যাদের ভারতে অবস্থিত বাংলাদেশি দূতাবাসের ছাড়পত্র থাকবে সেসব পাসপোর্টধারী যাত্রী দুই দেশের মধ্যে যাতায়াত করতে পারবেন।
বেনাপোল বন্দরের ভারপ্রাপ্ত পরিচালক আব্দুল জলিল জানান, সরকারি ছুটির পাশাপাশি দুই দেশের ব্যবসায়ীদের মধ্যে আলোচনার ভিত্তিতে তিন দিন বেনাপোল-পেট্রাপোল বন্দর দিয়ে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য বন্ধ রাখার সিদ্ধান্ত গ্রহণ করা হয়েছে। আগামী রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে পুনরায় এ পথে আমদানি-রফতানি বাণিজ্য শুরু হবে।
বেনাপোল সিঅ্যান্ডএফ স্টাফ অ্যাসোসিয়েশনের সেক্রেটারি সাজেদুর রহমান বলেন, বৃহস্পতিবার (১৩ মে) শুরু ঈদের ছুটি। শুক্রবার (১৪ মে) সাপ্তাহিক ছুটি ও পরের দিন শনিবার (১৫ মে) আবার ঈদের ছুটি। রোববার (১৬ মে) সকাল থেকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে পুনরায় এ পথে বাণিজ্যিক কার্যক্রম শুরু হবে।
বেনাপোল পোর্ট থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মামুন কবীর তরফদার বলেন, ঈদের ছুটির মধ্যে বন্দর এলাকায় যাতে কোনো অপ্রীতিকর ঘটনা না ঘটে সে জন্য পুলিশের বিশেষ নজরদারি।
জানা গেছে, প্রতিদিন বেনাপোল বন্দর দিয়ে ভারত থেকে প্রায় সাড়ে ৪শ ট্রাকে বিভিন্ন ধরনের পণ্য বেনাপোল বন্দরে প্রবেশ করে। প্রতি বছর আমদানি করা হয় ৪০ হাজার মেট্রিক টন। আমদানি পণ্য থেকে সরকারের প্রায় ৫ হাজার কোটি টাকা রাজস্ব আসে। এ ছাড়া প্রতিদিন বাংলাদেশি প্রায় দেড়শ ট্রাক পণ্য রফতানি হয় ভারতে।
বর্তমানে সরকারি আর সাপ্তাহিক ছুটির দিন ছাড়া অন্যান্য দিনে ২৪ ঘণ্টা চলে বন্দরের বাণিজ্যিক কার্যক্রম। আমদানি পণ্যের মধ্যে গার্মেন্টস, কেমিকেল, তুলা, মাছ, মেশিনারিজ ও শিশু খাদ্য উল্লেখযোগ্য। রফতানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগ পাট ও পাটজাত দ্রব্য।