বারো কিংবা তার চেয়ে বেশি বয়সী শিশু ও কিশোরদের জন্য মার্কিন কোম্পানি ফাইজার এবং জার্মান জৈবপ্রযুক্তি কোম্পানি বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড-১৯ টিকার অনুমোদন দিয়েছে কানাডা। প্রথম দেশ হিসেবে এই বয়সীদের জন্য করোনা টিকার অনুমোদন দিল দেশটি।
বার্তা সংস্থা এএফপির প্রতিবেদনে খবরটি জানানো হয়েছে। প্রতিবেদন অনুযায়ী বুধবার কানাডার ওষুধ নিয়ন্ত্রক কর্তৃপক্ষ ‘হেলথ কানাডা’ শিশু-কিশোরদের জন্য ফাইজার-বায়োএনটেকের তৈরি কোভিড টিকার অনুমোদন দেওয়ার ঘোষণা দেয়।
হেলথ কানাডার চিফ মেডিকেল অ্যাডভাইজার সুপ্রিয়া শার্মা এক সংবাদ সম্মেলনে বলেন, ‘শিশুদের করোনার সংক্রমণ থেকে সুরক্ষা দিতে কানাডায় এটিই প্রথম টিকা। মহামারির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে কানাডার জন্য এটি একটি উল্লেখযোগ্য মাইলফলক।’
তিনি আরও বলেন, ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের প্রাপ্ত তথ্য-উপাত্তে দেখা যাচ্ছে যে প্রাপ্তবয়স্কদের মতো এই টিকা শিশু-কিশোরদের করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে পারে। এছাড়া উল্লিখিত বয়সীদের জন্য এই টিকাটি নিরাপদ বলে ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালে প্রমাণ পাওয়া গেছে।
এদিকে ফাইজারের আবেদনের পরিপ্রেক্ষিতে টিকাটি ১২ বছর বয়সীদের দেওয়ার জন্য টিকা দেওয়ার বিষয়টি মূল্যায়ন করে দেখছে ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশন(এফডিএ)। দ্রুত এমন অনুমোদন চলে আসতে পারে।
ফাইজারের উদ্ভাবিত করোনার টিকা শিশুদের ক্ষেত্রে শতভাগ কার্যকর বলে দাবি করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ১২ থেকে ১৫ বছর বয়সী শিশুদের শরীরে এই টিকা ভালো সহনীয় বলেও দাবি করা হয়েছে।
অন্যদিকে বায়োএনটেকের সিইও উগুর শাহিন বলেন, ‘আমরা সবাই স্বাভাবিক জীবনের অপেক্ষায় রয়েছি। আমাদের শিশুর জন্যও এটা আরও বেশি সত্য। সাম্প্রতিক পরীক্ষায় শিশুদের ওপরও করোনার টিকার কার্যকারিতা প্রমাণ হয়েছে।