চীন তাদের নতুন স্থায়ী মহাকাশ স্টেশনের মডিউল উৎক্ষেপণ করেছে। তিয়ানহে নামের এই মডিউলে আছে নভোচারীদের থাকার জন্য ঘর। চীনের ওয়েনচাং মহাকাশ উৎক্ষেপণ কেন্দ্র থেকে লং মার্চ ফাইভবি নামের রকেটের মাধ্যমে এই মহাকাশ স্টেশনটি উৎক্ষেপণ করা হয়। দেশটির ধারণা, নতুন মহাকাশ কেন্দ্রটি ২০২২ সালের মধ্যেই কাজ শুরু করবে। এ খবর দিয়েছে বিবিসি।
খবরে জানানো হয়েছে, মহাকাশে এখন একমাত্র একটিই স্পেস স্টেশন আছে। এটি আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশন এবং চীনকে এটা ব্যবহার করতে দেয়া হয় না। তাই এবার চীন নিজেই নিজের মহাকাশ কেন্দ্র চালু করছে। মহাকাশ অভিযানের ক্ষেত্রে চীন তার কার্যক্রম শুরু করেছে বেশ দেরিতে।
মাত্র ২০০৩ সালে চীন প্রথম তার নভোচারীকে কক্ষপথে পাঠায়। চীন তখন ছিল পরাক্রমশালী সোভিয়েত ইউনিয়ন এবং আরেক পরাশক্তি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের পর মহাকাশ অভিযানের দৌড়ে তৃতীয় দেশ। এরপর দেশটি বৈশ্বিক বড় শক্তিগুলোর সঙ্গে পাল্লা দিয়ে মহাকাশ কার্যক্রম পরিচালনা করতে থাকে। এশিয়ার এই কমিউনিস্ট রাষ্ট্রটির সফলতাও ব্যাপক।
এখন পর্যন্ত চীন মহাকাশের কক্ষপথে পাঠিয়েছে একাধিক স্পেস স্টেশন। তিয়ানগং-১ এবং তিয়ানগং-২- নামের দুটি পরীক্ষামূলক মহাকাশ স্টেশন রয়েছে এরমধ্যে। তবে এগুলো ছিল খুবই সাদামাটা ধরনের মডিউল। সেখানে নভোচারীদের অল্প সময় থাকার ব্যবস্থা রাখা ছিল। বর্তমানের নতুন তিয়ানগং স্টেশনটির ওজন ৬৬ টন এবং এর অনেকগুলো মডিউল আছে। এই স্টেশন কাজ করতে পারবে অন্তত ১০ বছর। তিয়ানহে হল এই স্থায়ী তিয়ানগং মহাকাশ স্টেশনের মূল অংশ। এটির দৈর্ঘ্য ১৬.৬ মিটার, এবং প্রস্থ ৪.২ মিটার। এই মডিউল মহাকাশ স্টেশনে শক্তি সরবরাহ করবে এবং স্পেস স্টেশনটিকে কক্ষপথে ঘোরাবে। নভোচারীদের থাকার ব্যবস্থা এবং জীবনরক্ষার প্রযুক্তিও থাকবে এই মডিউলে।
উল্লেখ্য, চীনের অন্তত আরও দশটি একইধরনের উৎক্ষেপণের পরিকল্পনা রয়েছে। এর মাধ্যমে কক্ষপথে অতিরিক্ত যন্ত্রপাতি ও সরঞ্জাম পাঠানো হবে। তাদের পরিকল্পনা হল আগামী বছরের মধ্যে এই স্টেশন চালু করার কাজ সম্পন্ন করা। এই স্টেশনটি ৩৪০ থেকে ৪৫০ কিলোমিটার দূরত্বে পৃথিবীর কক্ষপথ প্রদক্ষিণ করবে।