আজ বুধবার (২৮ এপ্রিল) শহরের বিভিন্ন এলাকা ঘুরে দেখা যায়, সড়কে বাস ছাড়া সব ধরনের যান চলাচল করছে। ঈদের কেনাকাটা করতে হাজার হাজার মানুষ গাদাগাদি করে ভীড় করছেন সাহেববাজার ও আরডিএ মার্কেটে। মানা হচ্ছেনা কোন স্বাস্থ্যবিধি বা শারিরিক দুরত্ব। গরমসহ নানা অজুহাতে অধিকাংশ মানুষ মাস্ক পড়ছেন না।
এদিকে করোনাভাইরাসের সংক্রমণ রোধে চলমান কঠোর বিধিনিষেধের সময় বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করেছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। চলমান কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ আগামী ৫ মে পর্যন্ত বাড়িয়ে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। আজ বুধবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ থেকে প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়েছে। ২৮ এপ্রিল মধ্যরাত থেকে ৫ এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত বিধিনষেধ বৃদ্ধি করা হয়েছে।
জারি করা প্রজ্ঞাপনে বলা হয়েছে, স্বাস্থ্যবিধি মেনে দোকান ও শপিংমল সকাল ১০টা থেকে রাত ৮টা পর্যন্ত খোলা থাকবে। এছাড়া যথারীতি আগের মতো জরুরি সেবা দেয়া প্রতিষ্ঠান ছাড়া যথারীতি সরকারি-বেসরকারি অফিস, গণপরিবহন বন্ধ থাকবে। খোলা থাকবে শিল্প-কারখানা।
এর আগে, করোনার সংক্রমণ বাড়তে থাকায় সরকার ৫ এপ্রিল থেকে দেশব্যাপী বিধিনিষেধ আরোপ করলে এক পর্যায়ে ব্যবসায়ীরা সরকারের সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনার জন্য মাঠে নামে। আন্দোলনের মুখে সকাল ৯টা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত দোকানপাট ও শপিংমল খোলা রাখার ঘোষণা দেয়া হয়। পবর্তীতে করোনায় মৃতের সংখ্যা রেকর্ড পরিমাণ বাড়তে থাকলে ১৪ এপ্রিল থেকে কঠোর বিধিনিষেধ আরোপ করলে আবারো বন্ধ হয়ে যায় দোকানপাট ও শপিংমল। তবে কাঁচাবাজার ও নিত্যপ্রয়োজনীয় দ্রব্য সকাল ৯টা থেকে বিকাল ৩টা পর্যন্ত উন্মুক্ত স্থানে স্বাস্থ্যবিধি মেনে বিক্রি করা যাবে বলে জানানো হয়। এরপর গত ২৫ এপ্রিল সরকারের পক্ষ থেকে নানান বিধিনিষেধ মেনে দোকানপাট ও শপিংমল খোলার ঘোষণা দেয়া হয়।
এদিকে, করোনাভাইরাসের সংক্রমণ ঠেকাতে ৫ই এপ্রিল থেকে প্রথম দফায় সাত দিনের বিধিনিষেধ আরোপ করে সরকার। তবে তার ধারাবাহিকতা চলে ১৩ই এপ্রিল পর্যন্ত। এরপর ১৪ই এপ্রিল থেকে দ্বিতীয় দফয় কঠোর বিধিনিষেধ দেয়া হয়, যা চলে ২১শে এপ্রিল পর্যন্ত। এর পর ২২শে এপ্রিল থেকে আরো এক সপ্তাহ কঠোর বিধিনিষেধের মেয়াদ বাড়ানো হয়। ২৮শে এপ্রিল মধ্যরাত পর্যন্ত দেশব্যাপী কঠোর বিধিনিষেধ বৃদ্ধি করে প্রজ্ঞাপনও জারি করা হয়।