spot_img

গাজা থেকে ইসরাইলে ৩০টির বেশি রকেট নিক্ষেপ

অবশ্যই পরুন

গাজা থেকে ইসরাইলে ৩৬টি রকেট নিক্ষেপ করা হয়েছে। এর মধ্যে ছয়টি রকেট ইসরাইলের আকাশ প্রতিরক্ষা বাহিনীর আয়রন ডোম ক্ষেপণাস্ত্র প্রতিরক্ষার মাধ্যমে আকাশেই ধ্বংস হয়। বাকি ৩০টি রকেট ইসরাইলের মূল ভূখণ্ডে আঘাত হানে। শুক্রবারের এসব রকেট হামলায় ইসরাইলে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত বেশিরভাগ রকেটই পড়েছে ইসরাইলের খোলা প্রান্তরে। শুধুমাত্র একটি রকেট এক আবাসিক এলাকায় পতিত হয়। এ রকেট হামলায় একটি কৃষি যন্ত্রাংশ রাখার ঘর ও কিছু যন্ত্রাংশের ক্ষতি হয়েছে। আর একটি রকেট হফ আসকেলন এলাকার একটি কৃষি ক্ষেতে বিধ্বস্ত হয়। এছাড়া কিছু রকেট কিবুজ নাহাল অজ ও কাইসুফিম প্রবশের সড়ক এলাকায় পড়ে।

কিছুক্ষণ পর পর এ রকেট হামলায় ইসরাইলজুড়ে আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়েছে। ইসরাইলের বিভিন্ন এলাকায় অব্যাহতভাবে বাজতে থাকে সাইরেন। এ সাইরেনের মাধ্যমে বেসামরিক সাধারণ মানুষ বাঙ্কারে আশ্রয় নেয়। কিছুক্ষণ পর পরই বিকট শব্দ করে আয়রন ডোম থেকে ক্ষেপণাস্ত্র নিক্ষিপ্ত হতে থাকে গাজা থেকে নিক্ষিপ্ত রকেট প্রতিরোধে।

এ ব্যাপারে এসকোল এলাকার পৌরসভার প্রধান গ্যাড ইয়ারকোনি বলেন, ‘এ ব্যাপারগুলো অসহ্য। কারা যে এসব সংগঠনকে গাজা থেকে রকেট নিক্ষেপের অনুমতি দেয়। তারা গাজার পাশের ইসরাইলি ভূখণ্ডে রকেট হামলা করে আর সাধারণ ইসরাইলিদের ক্ষতি করার চেষ্টা করে। এ ব্যাপারগুলো খুবই ভয়ানক, এসব ঘটনা আমাদের স্তম্ভিত করে দেয়।’

তিনি আরো বলেন, ‘বিশ বছর ধরে গাজা থেকে রকেট হামলার এ ঘটনার পরও এখনো ইসরাইলে এমন অনেক বাড়ি আছে যেখানে কোনো বাঙ্কার বা আশ্রয় নেয়ার স্থান নেই। শুক্রবার রাতে ইসরাইলের নাগরিকরা রকেট হামলার মধেই মৃত্যুর শঙ্কা নিয়ে ঘুমিয়েছেন।

আর সার হানেগেভ এলাকার পৌরসভার প্রধান অফির লিয়েবস্টেইন বলেন, ‘২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে চলা এ রকেট হামলা বন্ধে ইসরাইলি সরকার কোনো কার্যকর পন্থা বের করতে পারেনি। যদিও এ বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই যে আমরা নিরাপদ ও স্থিতিশীল জীবন চাই।’

এদিকে এ রকেট হামলার পর ইসরাইলের নিরাপত্তা বাহিনীর স্টাফ লেফটেন্যান্ট জেনারেল আভিভ কোহাভি একটি সভা ডাকেন সকাল ১১টার দিকে। আর ইসরাইলের প্রতিরক্ষামন্ত্রী বেনি গান্টজও এ পরিস্থিতি নিয়ে একটি সভা ডেকেছেন।

এদিকে শুক্রবার ইসরাইলে রকেট হামলার পর দেশটির সেনাবাহিনীর ট্যাংক শনিবার হামাসের একটি চৌকিতে আক্রমণ করে। এছাড়া শুক্রবার রাতে গাজায় হামাসের বিভিন্ন অবস্থানে হামলা চালায়।

ইসরাইলি হামলার ব্যাপারে হামাসের কর্মকর্তারা বলেন, ‘গাজা উপত্যকার ওপর জায়নবাদী ইসরাইলের নতুন এ হামলা এ অঞ্চলের মানুষের মনোবল ও স্থিতিশীলতা নষ্ট করার পায়তারা। গাজার জনগণ ও আমাদের প্রতিরোধ সংগঠন একসাথ হয়ে আমাদের জেরুসালেমের লোকদের পাশে আছি। তাদের সাথে আমরাও জায়নবাদীদের দখলদারিত্ব প্রতিরোধে ও আল-আকসা মসজিদ রক্ষার যুদ্ধে আছি।

এ রকেট হামলার পর ইসরাইলি নিরাপত্তা বাহিনী মনে করছে, হামাস এ রকেট হামলার অনুমতি দিয়েছে। যদিও সংগঠনটি সরাসরি এ রকেট হামলায় জড়িত নয়।

অপরদিকে মধ্যপ্রাচ্যে জাতিসঙ্ঘের দূত টর ওয়েনেসল্যান্ড বলেন, ‘তিনি গাজার হামাস বাহিনী ও ইসরাইলের সঙ্ঘাতের ব্যাপারে অবগত। তারা সবপক্ষের সাথে কাজ করছেন এ সঙ্ঘাত বন্ধে। এক্ষত্রে ইসরাইলকে জেরসালেমে প্ররোচনামূলক কাজগুলো (দখলদারিত্ব, ফিলিস্তিনিদের নির্যাতন) বন্ধ করতে হবে। আরো সঙ্ঘাত বন্ধে আমি সকল পক্ষকে আহ্বান করেছি অন্তত রোজার মাসে সংযম পালন করতে।

সূত্র : জেরুসালেম পোস্ট

সর্বশেষ সংবাদ

মুজিববর্ষের নামে ভাস্কর্য-ম্যুরালে হাজার হাজার কোটি টাকা নষ্ট: শফিকুল আলম

মুজিববর্ষের নামে কত টাকা অপচয় করা হয়েছে তা বর্তমান সরকার খতিয়ে দেখছে বলে জানিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টার প্রেস সচিব শফিকুল...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ