দিল্লির ব্যাটসম্যান মার্কোস স্টনিসকে কী বিভ্রান্তিতে-ই না ফেললেন মোস্তাফিজুর রহমান। ফুলার লেন্থ বল, স্কিড করলো সঙ্গে শার্প টার্ণ। বল গেল উইকেটের পেছনে।
ধারাভাষ্যে থাকা মাইকেল স্লেটার রিপ্লে দেখে বললেন, ‘কোনো পেসার নাকি বাঁহাতি মুরালিধরন বল করলো।’ বলের গ্রিপ, শেষ মুহূর্তে ঘুরিয়ে দেওয়া সবকিছু দেখে বিস্ময় ছড়াতে বাধ্য, স্পিনার বল করছিল নাকি পেসার? মোস্তাফিজের কাটার বলে কথা।
রাজস্থানের এ পেসার আজ নিজের প্রথম ওভারেই পেয়ে যান সাফল্য। ওয়াংখেড়ের উইকেট ছিল মোস্তাফিজের জন্য আদর্শ। একটু ধীর গতির উইকেট। পেসারদের জন্য সহায়ক। বাড়তি পেসে কাজ হবে না জেনে শুরু থেকেই গতি কমিয়ে বোলিং করছিলেন মোস্তাফিজ।
প্রথম বলটা ১২৮ কি.মি.। দিল্লির অধিনায়ক পান্ত ১ রান নিয়ে প্রান্ত বদল করলেন। ব্যাটিংয়ে নতুন ব্যাটসম্যান স্টনিস। শুরুতে একটু জোর দিয়ে করলেন। ১৩৩ কি.মির বল দেখেশুনে ড্রাইভ করলেন। পরের বলটাও একই লেন্থের, একই গতির। দেখেশুনে খেলেছিলেন রান পাননি।
চতুর্থ বলটি ছিল বিস্ময়কর। ১১৭ কি.মির বলে অস্ট্রেলিয়ার ব্যাটসম্যান বোকা বনে যান। পরের বলে মোস্তাফিজ পেয়ে যান সাফল্য। এবার ১১৫ কি.মির বল। স্ট্যাম্পের উপরের বল খেলতেই হবে। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের মাঝব্যাটে লেগে বল যায় শর্ট কভারে। বাটলার সেখানে দুর্দান্ত ক্যাচ নিয়ে মোস্তাফিজের পকেট ভারী করেন।
প্রথম ওভারে মোস্তাফিজের বোলিং ফিগার ১-০-১-১।
বোলিংয়ের ধারাবাহিকতা মোস্তাফিজ ধরে রাখেন পরের তিন ওভারে। সব মিলিয়ে ৪ ওভারে ২৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ২ উইকেট। শেষ দিকে তার আরেকটি স্লোয়ারে বোল্ড হন টম কুরান এবং তার স্পেলের শেষ বলে দুই রান নিতে গিয়ে রান আউট হন রবিচন্দ্রন অশ্বিন।
বৃহস্পতিবার রাজস্থানের হয়ে মোস্তাফিজ ছিলেন দুর্দান্ত। ২৪ বলের ১১টি ডট দিয়েছেন। যে ২টি উইকেট পেয়েছেন সেগুলো ছড়িয়েছে মুগ্ধতা। এর আগে প্রথম ম্যাচে ৪৫ রানে উইকেটশূণ্য ছিলেন তিনি। তবে উইকেট নেওয়ার সুযোগ তৈরি করেছিলেন। ভাগ্য সহায়ক হয়নি বলে পাননি। তবে আজকের বোলিং নিশ্চিত আত্মবিশ্বাস বাড়াবে বাংলাদেশের এ পেসারের।