করোনা মহামারি গুরুতর এক পর্যায়ে রয়েছে জানিয়ে সোমবার সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য স্বাস্থ্য। ডব্লিউএইচও জানিয়েছে, এখন ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে অতিদ্রুত। ঊর্ধ্বমুখী সংক্রমণ ঠেকাতে প্রমাণিত স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলা ছাড়া আর কোন উপায় নেই।
জাতিসংঘের স্বাস্থ্য বিষয়ক অঙ্গসংস্থাটি জানিয়েছে, এ বছরের শুরুর দিকে বিশ্বজুড়ে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত ও মৃতের সংখ্যা অনেকটা কমে আসে। কিন্তু বিগত কয়েক সপ্তাহ ধরে করোনা মহামারি পরিস্থিতির নাটকীয় অবনতি হতে শুরু করেছে। বিষয়টি উদ্বেগের।
বৈশ্বিক পর্যায়ের এক বৈঠকে সতর্ক বর্তমান পরিস্থিতি নিয়ে সতর্ক করে ডব্লিউএইচও’র মহাপরিচালক টেদ্রোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুসও বলেছেন, ‘টানা গত সাত সপ্তাহ ধরে করোনায় আক্রান্ত এবং টানা চার সপ্তাহ ধরে করোনায় মৃত্যুর সংখ্যা আশঙ্কাজনক হারে বাড়ছেই।’
বেশিরভাগ দেশেই করোনার টিকাদান কর্মসূচি জোরালো করা সত্ত্বেও এভাবে ভাইরাসটির বিস্তার বাড়ছে। এ পর্যন্ত বিশ্বের ৭৮ কোটি মানুষ করোনার টিকা নিয়েছেন বলে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসাবের বরাতে জানিয়েছে বার্তা সংস্থা এএফপি।
মহামারির প্রকোপ নিয়ন্ত্রণে টিকা গুরুত্বপূর্ণ একটি অস্ত্র হলেও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রধান টেদ্রোস আধানম গ্রেব্রেয়াসুস এই একটি অস্ত্র ছাড়াও বিশ্ববাসীকে ভাইরাসটির বিস্তার ঠেকাতে অন্যান্য স্বাস্থ্যবিধিগুলো মেনে চলার ওপর জোর দিয়েছেন।
তিনি সতর্ক করে বলেন, ‘জনস্বাস্থ্য ব্যবস্থায় বিদ্যমান বিভ্রান্তি, আত্মতুষ্টি ও অসঙ্গতি এবং তার প্রয়োগের মতো বিষয়গুলোর কারণে করোনার সংক্রমণ সামনে আরও বাড়বে। আর এতে করে আরও অনেক মানুষের মৃত্যুর মাধ্যমে এর মূল্য দিতে হবে আমাদের।’
২০১৯ সালের ডিসেম্বরে চীন থেকে প্রাদুর্ভাব শুরুর পর মহামারি আকারে গোটা বিশ্বে ছড়িয়ে পড়া করোনাভাইরাস এ পর্যন্ত ২৯ লাখ ৪০ হাজারের বেশি মানুষের প্রাণ কেড়ে নিয়েছে। উৎপত্তির পর এই ভাইরাস সংক্রমণ ঘটিয়েছে ১৩ কোটি ৬০ লাখের বেশি মানুষের দেহে।