উয়েফা চ্যাম্পিয়নস লিগের বর্তমান চ্যাম্পিয়ন বায়ার্ন মিউনিখ। রানার্স-আপ প্যারিস সেন্ত জার্মেই (পিএসজি)। দুই ফাইনালিস্ট বুধবার দিবাগত রাতে এবারের আসরের কোয়ার্টার ফাইনালের প্রথম লেগে মুখোমুখি হয়। তবে চ্যাম্পিয়নদের ঘরের মাঠে তাদের ৩-২ গোলে হারিয়ে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ঘরে ফিরেছে পিএসজি।
এমন জয়ে জোড়া গোল করেছেন ফরাসি তারকা কিলিয়ান এমবাপ্পে। অপর গোলটি করেছেন মারকুইনহোস। বায়ার্নের হয়ে গোল করেছেন এরিক ম্যাক্সিম চৌপো-মোটিং ও থমাস মুলার। ফিরতি লেগে আগামী মঙ্গলবার (১৩ এপ্রিল) পিএসজির মাঠে লড়বে বায়ার্ন।
বায়ার্ন মাঠ আলিয়াঞ্জ অ্যারেনায় এদিন তুষারপাত হয়েছে খুব। কিন্তু হাড় হিম করা ঠাণ্ডার মধ্যে বেশ উত্তাপ ছড়িয়েছে ম্যাচটি। ম্যাচের ৩ মিনিটেই পিএসজিকে এগিয়ে নেন এমবাপ্পে। এ সময় ডি মারিয়ার পাস থেকে বল পেয়ে যান নেইমার। বল নিয়ে তিনি বক্সের সামনে চলে যান। এরপর ডানদিকে বাড়িয়ে দেন এমবাপ্পেকে। বল পেয়েই শট নেন এমবাপ্পে। চেয়েছিলেন দূরের পোস্ট দিয়ে বল জালে জড়াতে। কিন্তু বল চলে যায় সরাসরি ম্যানুয়েল নয়্যারের কাছে। কিন্তু নয়্যার সেটা ধরতে পারেননি। তার পায়ের ফাঁক গলে বল জালে আশ্রয় নেয়।
২৭ মিনিটে ব্যবধান দ্বিগুণ করেন মারকুইনহোস। এ সময় দূর থেকে বায়ার্নের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়দের মাথার ওপর দিয়ে বক্সের মধ্যে মারকুইনহোসকে লক্ষ্য করে বল দেন নেইমার। বল পেয়ে সামনে থাকা একমাত্র নয়্যারকে আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ফাঁকি দিয়ে বল জালে জড়ান তিনি।
২-০ গোলে পিছিয়ে পড়ার পর সম্ভিত ফিরে পায় বায়ার্ন। ৩৭ মিনিটের মাথায় বক্সের মধ্যে আনমার্ক এরিক ম্যাক্সিম হেড দিয়ে বল জালে পাঠান। কেইলর নাভাস বল ধরার কোনো সুযোগই পাননি। তাতে ২-১ গোলে এগিয়ে থেকেই বিরতিতে যায় পিএসজি।
বিরতি থেকে ফিরে ৬০ মিনিটের মাথায় ম্যাচে সমতা ফেরায় বায়ার্ন। এ সময় ফ্রি কিক পায় বাভারিয়ানরা। ফ্রি কিক থেকে জশুয়া খিমিচের নেওয়া কিক খুঁজে পায় থমাস মুলারকে। মুলার হেডে নাভাসকে পরাস্ত করে বল জালে জড়ান।
অবশ্য বেশিক্ষণ এই সমতা স্থায়ী হয়নি। ৬৮ মিনিটের মাথায় কালিয়ান এমবাপ্পে তার জোড়া গোল পূর্ণ করে এগিয়ে নেন পিএসজিকে। এ সময় মাত্র দুই টাচে ড্রাক্সলার ও ডি মারিয়া ৪০ গজ পার করে বল পৌঁছে দেন বায়ার্নের ডি বক্সের কাছে থাকা এমবাপ্পেকে। তখন এমবাপ্পের সামনে ছিলেন কেভিন প্রিন্স বোয়েটাং। তাকে বোকা বানিয়ে তার পায়ের ফাঁকা দিয়ে শট নেন ফরাসি এই স্ট্রাইকার। কাছের পোস্ট দিয়ে বল জালে আশ্রয় নেয়। নয়্যারের বল ধরার কোনো সুযোগই ছিল না।
অবশ্য পুরো ম্যাচের মতো বাকি সময়েও বেশ কিছু সুযোগ তৈরি করে বায়ার্ন। কিন্তু সেগুলো থেকে কোনো গোল আদায় করে নিতে পারেনি। তাতে ঘরের মাঠে ৩-২ গোলে হেরে মাঠ ছাড়ে তারা। অন্যদিকে দারুণ এক জয়ে গেল বছর ফাইনালে হারার প্রাথমিক প্রতিশোধ নিয়ে দেশে ফেরে পিএসজি।