চলতি মাসের শেষের দিকে মার্কিন প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের নেতৃত্বে বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে অংশ নিতে যাচ্ছে বাংলাদেশ, ভারত, চীনসহ অন্তত ৪০টি দেশ। ইতোমধ্যে এসব দেশের সরকারপ্রধানকে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। আলোচনা এগিয়ে নিতে এ সপ্তাহে আবুধাবি, নয়া দিল্লি ও ঢাকা সফরে আসছেন তার বিশেষ দূত জন কেরি। তবে এসব কর্মসূচির কোথাও নাম আসেনি পাকিস্তানের। এ নিয়ে বেজায় ক্ষেপেছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী ইমরান খান।
বৈশ্বিক জলবায়ু সম্মেলনে আমন্ত্রণ না জানানোয় শনিবার একাধিক টুইটে নিজের ক্ষোভ ঝেড়েছেন পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী। গুরুত্বপূর্ণ একটি সম্মেলনে এভাবে উপেক্ষিত হওয়ায় বিস্মিত বলে জানিয়েছেন তিনি।
ইমরান খান বলেন, আমি বিস্মিত যে, পাকিস্তানকে এধরনের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনে আমন্ত্রণ জানানো হয়নি। আমার সরকারের পরিবেশ নীতিগুলো জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব কমাতে এবং ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে একটি পরিষ্কার ও সবুজ পাকিস্তান দিতে আমাদের প্রতিশ্রুতির মাধ্যমে পরিচালিত হয়।
নিমন্ত্রণ না পেলেও জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় অন্য দেশকে সহায়তা করতে প্রস্তুত বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, গ্রিন পাক, ১০ বিলিয়ন গাছের সুনামি প্রকল্প, নদী পরিষ্কার করার মতো কর্মসূচিগুলো থেকে গত সাত বছরে আমরা ব্যাপক অভিজ্ঞতা অর্জন করেছি। আমাদের নীতির প্রশংসা হচ্ছে জোরেশোরে। কোনও দেশ চাইলে আমরা তাদের সহায়তা করতে প্রস্তুত।
অবশ্য পুরোপুরি আশা ছাড়েননি ইমরান খান। আগামী নভেম্বরে গ্লাসগোতে অনুষ্ঠিত হবে জাতিসংঘের ২৬তম জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলন (সিওপি২৬)। জোটের সদস্য হওয়ায় স্বাভাবিকভাবেই সেই সম্মেলনে থাকবে পাকিস্তান।
এই সম্মেলন প্রসঙ্গে পাকিস্তানি প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমি ইতোমধ্যে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন সম্মেলনের (সিওপি২৬) জন্য অগ্রাধিকার দিয়েছি, যদি সত্যিই আন্তর্জাতিক সম্প্রদায় জলবায়ু পরিবর্তন মোকাবিলায় আন্তরিক হয়।