বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি বলেছেন, বিশ্ব যখন করোনাভাইরাস মহামারিতে স্তব্ধ তখনও বাংলাদেশের শিল্পকারখানা সচল রয়েছে। করোনার কারণে ক্ষতি হয়েছে সত্য, তবে আমরা থেমে নেই। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঠিক দিক-নির্দেশনা এবং কার্যকর ব্যবস্থা নেয়ার মাধ্যমে আমরা সফলভাবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করছি। কল-কারখানার সবাই স্বাস্থ্যবিধি মেনে নিরাপদে কাজ করছে।
বুধবার (৩১ মার্চ) দুপুরে রাজধানীর উত্তরখানে দেশবন্ধু গ্রুপের সহযোগী প্রতিষ্ঠান সাউথইস্ট সোয়েটার্স লিমিটেড এবং জি এম অ্যাপারেলস লিমিটেডের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন বাণিজ্যমন্ত্রী।
টিপু মুনশি বলেন, আমাদের তৈরি পোশাক কারখানাগুলো বিশ্বমানের। নিরাপদ ও কর্মবান্ধব পরিবেশে শ্রমিকরা কাজ করছেন। দেশে একের পর এক আধুনিক ফ্যাক্টরি গড়ে উঠছে। শ্রমিকরা উপযুক্ত বেতন পাচ্ছেন। শান্তিপূর্ণ পরিবেশে বাংলাদেশে ফ্যক্টরিতে কাজ চলছে।
বাণিজ্যমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর স্বপ্নের সোনার বাংলা গড়তে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দিনরাত কাজ করে যাচ্ছেন। আমাদের সবাইকে দেশের অর্থনৈতিক মুক্তির জন্য কাজ করতে হবে। দেশবন্ধু গ্রুপ সে কাজটিই করছে। শিল্পকারখানা গড়ে উঠার কারণে মানুষের কর্মসংস্থান সৃষ্টি হচ্ছে এবং দেশ অর্থনৈতিকভাবে দ্রুত এগিয়ে যাচ্ছে। বঙ্গবন্ধুকে সপরিবারে হত্যা করে দেশের উন্নয়ন থামিয়ে রাখা যায়নি।
তিনি বলেন, আমরা বঙ্গবন্ধুর নেতৃত্ব বাংলাদেশ স্বাধীন করেছি। পাকিস্তান আমাদের সবসম্পদ লুট করে নিয়ে গেছে। আমাদের সবার প্রচেষ্টায় আজ সব সূচকে বাংলাদেশ পাকিস্তানের চেয়ে এগিয়ে গেছে।
ঢাকা-১৮ আসনের সংসদ সদস্য আলহাজ মোহাম্মদ হাবিব হাসান বলেন, আওয়ামী লীগ সরকার শিল্পবান্ধব সরকার। প্রধানমন্ত্রী গার্মেন্টসের চাকা এমনভাবে সচল রেখেছেন যাতে করোনার মধ্যেও শ্রমিকদের কোনো সমস্যা হয়নি।
দেশবন্ধু গ্রুপের চেয়ারম্যান গোলাম মোস্তফার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরো বক্তব্য রাখেন ফার্স্ট সিকিউরিটি ইসলামী ব্যাংকের উপব্যবস্থাপনা পরিচালক মাসুদুর রহমান শাহ এবং উত্তরা ফাইন্যান্স অ্যান্ড ইনভেস্টমেন্ট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও এস এম শামসুল আরেফিন।
সাউথইস্ট লিমিটেড এবং জি এম অ্যাপারেলস লিমিটেড দেশবন্ধু গ্রুপের নতুন দুটি সহযোগী প্রতিষ্ঠান। রপ্তানিমুখী এই শিল্প প্রতিষ্ঠান দুটি শতভাগ কমপ্লায়েন্সের মানদণ্ড অনুসারে তৈরি হয়েছে। মোট ৩ লাখ ২০ হাজার বর্গফুটের ৭টি ফ্লোরে ৮০০ অটোমেটিক সোয়েটার তৈরির মেশিনের মাধ্যমে প্রতি বছর ফ্যাক্টরি দুটি ৫০ মিলিয়ন মার্কিন ডলারের পোশাক রপ্তানি করতে পারবে।