ভারতের অনলাইন ভিত্তিক খাবার সরবরাহকারী প্রতিষ্ঠান জোমাটো’র ডেলিভারি বয় কামরাজ ও তরুণী হিতেশা চন্দ্রানীর ঘটনায় এবার মুখ খুললেন পরিণীতি চোপড়া।
বলিউড অভিনেত্রী পরিণীতি টুইট করে এ ঘটনার সত্যতা উদঘাটনের আবেদন জানিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি বলেন, ‘আমি বিশ্বাস করি জোমাটো ডেলিভারি বয় কোনও অপরাধ করেননি। আমি কীভাবে সাহায্য করতে পারি দয়া করে জানান।’
ঘটনার সত্যতা জানতে উত্তাল ভারতীয় সামাজিক মাধ্যম। কে দোষী আর কে নয় তা এখনও জানা যায়নি। কিন্তু সামাজিক মাধ্যমের একটি বড় অংশ কামরাজের পাশে রয়েছে।
কামরাজের কথা প্রকাশ্যে আসা মাত্রই নেট নাগরিকদের একাংশ তার পাশে দাঁড়িয়েছে। তিনি জোর গলায় জানিয়েছেন সত্যি সামনে আসবেই।
এ বিষয়ে স্পষ্ট করে কামরাজ বলেন, ঘটনার পর আমি এতো জলঘোলা করতে চাইনি। যা ঘটেছে তা ভুলে যেতে চেয়েছিলাম। কিন্তু তার (হিতেশা) সোশ্যাল মিডিয়ায় করা ভিডিও আমার রোজগার কেড়ে নিয়েছে আমি প্রয়োজনে আইনের পথে হাঁটব। কারণ, আমি দোষী নই। হতে পারে আমি সোশ্যাল মিডিয়ায় ভিডিও করে প্রচার করিনি বা আগে কোথাও অভিযোগ জানাইনি। আমি সত্যের পথে হাঁটতে চাই।
প্রসঙ্গত, হিতেশা চন্দ্রানী নামের ওই তরুণী খাবার অর্ডার করেছিলেন জোমাটো’তে। যা যথাস্থানে পৌঁছতে এক ঘণ্টা বেশি সময় দেরি হয়ে যায়। এই দীর্ঘ সময়ে চন্দ্রানী জোমাটো’র ঊর্ধ্বতনের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। তিনি দাবি করেন, তার খাবার ফ্রি করে দেওয়া হোক অথবা ফিরিয়ে দেয়ার ব্যবস্থা করা হোক।
হিতেশা চন্দ্রানী ও কামরাজ
কামরাজ খাবার নিয়ে পৌঁছুতেই অসভ্যের মতো ব্যবহার করেন বলে অভিযোগ চন্দ্রানীর। তাকে দাঁড়াতে বলেন তিনি। সেই সময় ফ্রিতে বা খাবার ফিরিয়ে দেওয়া সম্ভব কিনা সে বিষয়ে কথা বলছিলেন। কিন্তু ডেলিভারি বয় দাঁড়াতে রাজি হয় না এবং খাবার ফিরিয়ে নিয়ে যেতে চান না। এরপরই শুরু হয় তর্ক। চন্দ্রানীর অভিযোগ এরপরই কামরাজ ঘুসি মেরে নাক ফাটিয়ে দেন। গল গল করে রক্ত বেরিয়ে আসে।
কামরাজ পুলিশকে জানিয়েছেন, ‘ওই তরুণী আমায় খাবার ফেরত নিয়ে যেতে বলেন, অন্যদিকে কোম্পানি আমাকে ফোন করে বলে গ্রাহককে বোঝাতে। কিন্তু, তিনি উত্তেজিত হয়ে নোংরা কথা বলেন। আমাকে নিচু দেখান। ‘দাস’ বলে কটাক্ষ করেন। চিৎকার করতে শুরু করেন। এরপর চটি ছুড়ে মারেন। সেই চটির থেকে বাঁচতে হাত এগিয়ে দিই। তখন উনার নিজের হাতের আংটি নাকে লেগে যায়’।