spot_img

শিশুদের প্রতি মায়ের ধর্মীয় দায়িত্ব

অবশ্যই পরুন

সন্তানের সুন্দর জীবন গঠনে আদর্শ মায়ের বিকল্প নেই। আর একজন মা স্বার্থক ও সফল তখনই হন— যখন তিনি সন্তানকে উত্তম আদর্শ  ও শিষ্টাচার শিক্ষা দিয়ে গড়ে তোলেন। বস্তুত সন্তানের প্রতি মা-বাবার অনেক দায়িত্ব রয়েছে; তবে সংক্ষিপ্ত কিছু গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব ও কর্তব্য হলো—

তাওহিদের শিক্ষা
গবেষণায় দেখা গেছে- ‘শিশুরা প্রথম বছরগুলোতেই পূর্বপুরুষদের অধিকাংশ চিন্তা-চেতনার আলোকে শিক্ষাগ্রহণ করে থাকে। এবং প্রায় নব্বই শতাংশ শিক্ষাবিষয়ক কার্যক্রম শিশুর প্রথম বছরগুলোতেই সম্পন্ন হয়।’ সুতরাং মায়ের কাছে থাকাকালীন সময়টা যথাযথভাবে কাজে লাগানো বেশি গুরুত্বপর্ণ।

তাই সন্তানকে তাওহিদ বা একত্ববাদের শিক্ষা দেওয়া সবচেয়ে জরুরি। পাশাপাশি তাকে মহৎ বিষয়াদি সম্পর্কে ধারণা দেওয়া জরুরি। বিশেষত প্রথম পাঁচ বছরের মধ্যেই উত্তম কথা ও কাজের প্রশিক্ষণ দেওয়া চাই।

জিকিরে অভ্যস্ততা
শিশুর সামনে জিকিরের বেশ প্রভাব রয়েছে। তাই প্রথম থেকেই বিভিন্ন দোয়া-দরুদ পড়া বাঞ্ছনীয়। বিশেষ করে এ জিকিরসমূহ উচ্চারণে অভ্যস্ত করানো একান্ত জরুরি—

لا إله الا الله، محمد رسول الله

উচ্চারণ : লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু, মুহাম্মাদুর রাসুলুল্লাহ।

অর্থ : আল্লাহ ছাড়া কোনো উপাস্য নেই, মুহাম্মদ (সা.) আল্লাহর রাসুল।

সুবহানাল্লাহ; অর্থাৎ আল্লাহ পবিত্র। আলহামদুলিল্লাহ; অর্থাৎ সমস্ত প্রশংসা আল্লাহর জন্য। আল্লাহু আকবার; অর্থাৎ আল্লাহ সর্বশ্রেষ্ঠ। লা হাওলা ওয়ালা কুওয়াতা ইল্লা বিল্লাহ; অর্থ : আল্লাহর সাহায্য ব্যতীত কোনো ক্ষমতা নেই এবং কোনো শক্তি নেই; ইত্যাদি।

আল্লাহর ভালোবাসা-ভয় তৈরি
শিশুর মনে এ অনুভূতি জাগ্রত করা জরুরি যে, মানুষ সবসময় আল্লাহর পর্যবেক্ষণে থাকে।  পাশাপাশি শিশুকে ভালো ও সুন্দর কথাবার্তা বলার প্রশিক্ষণ দেওয়া। যেমন- ‘আল্লাহ আপনাকে উত্তম প্রতিদান দিন’ ইত্যাদি।

গুরুত্বপূর্ণ দোয়া
ঘুমাতে যাওয়া এবং ঘুম থেকে উঠা; খাবার খাওয়ার ও খাবার শেষের দোয়া; ঘর থেকে বের হওয়া এবং বাইরে থেকে ফেরার দোয়া; শৌচকার্যে যাওয়ার ও সেখান থেকে বের হওয়ার পর দোয়া ইত্যাদিতে অভ্যস্ত করানো চাই।

মেধা বিকাশে উদ্যোগ
শিশুর আগ্রহ, ইচ্ছা, অনুভূতি ও স্বপ্ন— আল্লাহপ্রদত্ত। শিশুকে ভালো কিছুর প্রতি আগ্রহী দেখলে তাতে অংশ গ্রহণে সুযোগ করে দেওয়া। যেমন- পড়ার প্রতি আগ্রহী সংশ্লিষ্ট বইপত্রের ব্যবস্থা করে দেওয়া। সর্বোপরি, শিশুর আগ্রহ-উদ্দীপনাকে কাজে লাগাতে এবং মেধাশক্তি বিকাশে যথাযথ সচেষ্ট হওয়া চাই।

সাত বছর বয়সে নতুন ধাপ
ওই বয়সে শরিয়ত নির্ধারিত বিষয়গুলো বাস্তবায়নে সচেষ্ট হওয়া। রাসুল (সা.) বলেন, ‘তোমাদের সন্তানদের তোমরা নামাজের নির্দেশ দাও, যখন তারা সাত বছর বয়সে উপনীত হয় এবং যখন তারা দশ বছর বয়সে উপনীত হয়, তখন নামাজ না পড়ার কারণে তাদের প্রহার করো। আর তাদের শোয়ার স্থান পৃথক করে দাও।’ (আবু দাউদ, হাদিস : ৪৯৪)

সর্বশেষ সংবাদ

গুঞ্জন উড়িয়ে ম্যানসিটিতে আরও ২ বছর থাকছেন পেপ গার্দিওলা

গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে পারেন কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কষ্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ