spot_img

‘আজারবাইজানের সংগ্রাম তুরস্কেরও সংগ্রাম’

অবশ্যই পরুন

তুরস্কের পার্লামেন্টের পররাষ্ট্র বিষয়ক কমিটির প্রধান আকিফ চাতাই কিলিচ বলেছেন, আজারবাইজানের সংগ্রাম একইসাথে তুরস্কেরও সংগ্রাম। বুধবার আজারবাইজানের রাজধানী বাকুতে তুর্কি পার্লামেন্ট সদস্যদের এক প্রতিনিধি দলের সরকারি সফরে এই মন্তব্য করেন তিনি।

আকিফ চাতাই কিলিচ বলেন, তুরস্ক ও আজারবাইজানের মধ্যে কোনো পার্থক্য নেই।

তিনি বলেন, ‘কারাবাখের ৪৪ দিনের যুদ্ধে আমরা পুরো বিশ্বকে দেখিয়ে দিয়েছি, যারা আমাদের সাথে যুদ্ধ করতে আসবে তাদেরকে অবশ্যই দুই রাষ্ট্রের সাথে একসাথে যুদ্ধ করতে প্রস্তুত হতে হবে।’

কিলিচ আরো বলেন, ‘আমাদের প্রেসিডেন্ট রজব তাইয়েব এরদোগান আজারবাইজানের আনন্দকে আমাদের আনন্দ, এর দুঃখকে আমাদের দুঃখ, এর সংগ্রামকে আমাদের সংগ্রাম হিসেবে প্রতিষ্ঠিত করেছেন।’

তুর্কি প্রতিনিধি দল সফরের সময় আজারবাইজানের সাবেক প্রেসিডেন্ট হায়দার আলিয়েভের মাজার ও বাকুর ‘তুর্কি শহীদের কবরস্থান’ জেয়ারত করেন।

কিলিচ একইসাথে অ্যালি অব মারটিয়ার্স (শহীদদের গলি) সমাধিসৌধ পরিদর্শন করেন এবং ওই শহীদের প্রতি শ্রদ্ধা নিবেদন করেন, যারা ১৯৯০ সালের ২০ জানুয়ারিতে বাকু ও তার পাশের এলাকাগুলোতে সোভিয়েত বাহিনীর হাতে শহীদ হন। আজারবাইজানের স্বাধীনতার প্রাক্কালে সংগঠিত এ গণহত্যায় ১৩০ জনের বেশি ব্যক্তিকে হত্যা করা হয়।

এর আগে মঙ্গলবার কিলিচ ও তার নেতৃত্বের তুর্কি প্রতিনিধি দল আজারবাইজানের প্রেসিডেন্ট ইলহাম আলিয়েভের সাথে সাক্ষাত করেন। পরে তারা দেশটির পার্লামেন্টের স্পিকার সাহিবা গাফারোভার সাথে দেখা করেন।

গত বছরের ২৭ সেপ্টেম্বর, আর্মেনিয়া আজারবাইজানের সামরিক বাহিনী ও সাধারণ মানুষের ওপর হামলা করলে দুই দেশ নতুন করে যুদ্ধে জড়িয়ে পড়ে।

৪৪ দিনের যুদ্ধে আর্মেনিয়ার দখল থেকে মুক্ত করে আজারবাইজান বিভিন্ন শহর ও অন্তত তিন শ’ জনবসতি ও গ্রামের নিয়ন্ত্রণ নেয়, যা প্রায় তিন দশক আর্মেনীয় দখলের অধীনে ছিল।

যুদ্ধ বন্ধ করতে ও সংঘাতে দীর্ঘস্থায়ী সমাধানের উদ্দেশ্যে দেশ দুইটি রাশিয়ার মধ্যস্থতায় ১০ নভেম্বর একটি চুক্তিতে স্বাক্ষর করে।

রাশিয়ার মধ্যস্থতায় সম্পাদিত যুদ্ধবিরতি চুক্তিটি আজারবাইজানের জয় ও আর্মেনিয়ার পরাজয় হিসেবে মনে করা হয়। চুক্তিটির ফলে আর্মেনিয়াকে নাগরনো কারাবাখ থেকে তাদের সশস্ত্র বাহিনীকে সরিয়ে ফেলতে হচ্ছে।

যুদ্ধবিরতি তদারকে তুরস্ক ও রাশিয়ার মধ্যে স্মারক চুক্তির আওতায় নাগরনো কারাবাখের আগদাম অঞ্চলে একটি যৌথ মনিটরিং সেন্টার চালু করা হয়েছে। যৌথ এই মনিটরিং সেন্টার থেকে তুরস্ক ও রাশিয়ার সেনাবাহিনী যৌথভাবে যুদ্ধবিরতি তদারকি করছে।

সূত্র : ইয়েনি শাফাক

সর্বশেষ সংবাদ

ক্ষমতা গ্রহণের পর প্রথম কাজ রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা: ট্রাম্প

যুক্তরাষ্ট্রের নবনির্বাচিত প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প জানিয়েছেন, জানুয়ারি মাসে দায়িত্ব গ্রহণের পর তার প্রথম কাজ হবে রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ করা।...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ