পুষ্টিকর খাবারের তালিকা করা হলে উপরের দিকেই থাকবে শিমের বিচির নাম। এটি যেমন পুষ্টিকর, খেতেও তেমনই সুস্বাদু। শিমের বিচি প্রোটিনের একটি বড় উৎস। এতে থাকা ফাইবার আমাদের শরীরের জন্য খুবই গুরুত্বপূর্ণ একটি উপাদান। শিমের বিচিতে কোলেস্টরল নেই। এতে থাকা উচ্চ মাত্রার কার্বোহাইড্রেট আমাদের শরীরে দ্রুত শক্তি জোগায়। শিমের বিচিতে আছে প্রয়োজনীয় আয়রন ও ভিটামিন। এটি ওজন কমানো ও শক্তি জোগানোর পাশাপাশি ক্রনিক রোগ দূর করতে সাহায্য করে।
গবেষণায় প্রমাণিত যে, কোলন ক্যান্সারে সহায়ক কোলন অ্যাডেনোমার বিপরীতে শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে সিমের বিচি। এটি আমাদের শরীরের অতিরিক্ত ফ্যাট ও বিভিন্ন রাসায়নিক পদার্থের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে থাকে। শিমের বিচি খেলে তা রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। হজমশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে শিমের বিচি। এটি গর্ভবতী মায়েদের জন্যও বেশ উপকারী।
শিমের বিচি দিয়ে রান্না করা যায় নানা সুস্বাদু খাবার। তরকারিতে শিমির বিচির ব্যবহার বেশ পরিচিত। যেহেতু শিম শীতকালীন সবজি তাই শীতের সময় ছাড়া শিমের বিচির দেখা মেলে না। আপনি যদি একটু কৌশল করে সংরক্ষণ করতে পারেন তবে সারা বছরই এটি খাওয়া সম্ভব। চলুন তবে জেনে নেয়া যাক শিমের বিচি সংরক্ষণ করার পদ্ধতি-
যা করতে হবে
প্রথমে একটি পাত্রে এক কেজি শিমের বিচি নিন। এবার তাতে পানি দিন। এভাবে সারারাত শিমের বিচিগুলো ভিজিয়ে রাখুন। পরদিন সকালে সবগুলো শিমের বিচির খোসা ছাড়িয়ে নিন। সারারাত ভিজিয়ে রাখার কারণে শিমের বিচির খোসা ছাড়ানো সহজ হবে।
একটি পরিষ্কার পাত্রে পরিমাণমতো পানি নিয়ে চুলায় জ্বাল দিন। এবার সেই পানির ভেতর শিমের বিচিগুলো দিন। তবে শিমের বিচি কোনোভাবেই পুরোপুরি সেদ্ধ করা যাবে না। মাত্র একটি বলক আসা পর্যন্ত অপেক্ষা করুন। এরপর চুলা বন্ধ করে পানি ছেঁকে নিন। এরপর শিমের বিচিগুলো ঠান্ডা পানি দিয়ে ধুয়ে নিতে হবে।
শিমের বিচিগুলো ভালোভাবে ঠান্ডা হলে একটি এয়ার টাইট বক্স বা ব্যাগে ভরে ডিপ ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে হবে। এভাবে এক বছর পর্যন্ত সংরক্ষণ করা সম্ভব। যখন যতটুকু প্রয়োজন ঠিক ততটুকু বের করে নিয়ে রান্না করলেই চলবে। এতে স্বাদও অটুট থাকবে।