তুরস্ক থেকে ৩শ কিলোমিটার রেঞ্জের মিসাইল কিনছে বাংলাদেশ সেনাবাহিনী।প্রথমবারের মতো তুরস্কের তৈরি মিসাইল ক্রয় করছে বাংলাদেশ । টিআরজি ৩০০ নামের মিসাইল সিস্টেমটি আগামী জুনের ২১ তারিখে বাংলাদেশে সরবরাহ করা হবে বলে তুরস্কের ডিফেন্স মিনিস্ট্রির এক ট্ইুটারে বলা হয়েছে। তুর্কি রকেসটান কর্পোরেশন মিসাইল সিস্টেমটি বানিয়েছে। মিসাইলটি লম্বায় ৩০ ফুট ২ ইঞ্চি, ক্যালিবার ১২ ইঞ্চি।
টিআরজি ৩০০ মিসাইল সিস্টেমকে আরো উন্নত করে ৩০০ কিলোমিটার পর্যন্ত আঘাত হানতে সক্ষম করে বাংলাদেশে পাঠানো হচ্ছে বলে তুরস্কের পক্ষ থেকে দাবি করা হয়েছে। ডিফেন্সিয়া ডট কম নামের একটি অনলাইন পোর্টালে দাবি করা হয়েছে, এই মিসাইল ক্রয় ছাড়াও ২০১৯ সালে বাংলাদেশ বিমানবাহিনী এফ-৭ নামের লেসার গাইড বোম্ব ক্রয় করেছে। এ ছাড়াও এটমাকা এন্টিশিপ মিশাইল ক্রয় করেছে করেছে বাংলাদেশ নৌবাহিনী। যে মিসাইল সিস্টেমটি ২০২০ সালে তুরস্কের নৌবাহিনীতে সংযুক্ত করা হয়েছে। এই এন্টিশিপ মিসাইলটি যেকোন ওয়েদারেই ব্যবহার করা যায়।
ডিফেন্সিয়া ডট জানায়, বাংলাদেশ তুরস্কের কাছ থেকে এয়ার ক্রাফট, এরিয়াল ভেহিক্যাল, এয়ার ডিফেন্স সিস্টেম, আর্মার্ড ভেহিক্যাল, এ্যাটাক হেলিকপ্টার, আর্টিলারি সিস্টেম, ইলেকট্রিক্যাল ওয়ারকেয়ার সিস্টেম, রেডিও কমিউনিকেশন সিস্টেম ক্রয়ের বিষয়ে আগ্রহ প্রকাশ করেছে। ২০০৫ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত বিশে^ তুরস্কের অস্ত্র রপ্তানি বেড়েছে ১৭০ শতাংশ। বাংলাদেশও তুরস্কের অস্ত্রের অন্যতম ক্রেতা। বর্তমানে তুরস্ক থেকে বাংলাদেশ প্রতি বছর প্রায় ২ বিলিয়ন ডলারের পণ্য আমদানি করে। ২০১৭ সালে তুরস্কের পররাষ্ট্রমন্ত্রী মেডলোড বাংলাদেশ সফর করেছেন। এ সময়ে তিনি বাংলাদেশে অস্ত্র বিক্রি ও বাংলাদেশের সঙ্গে যৌথবিনিয়োগে অস্ত্র কারখানা স্থাপনের আগ্রহও প্রকাশ করেছিলেন।