ডায়াবেটিসের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে প্রিডায়াবেটিস। ডায়াবেটিস হওয়ার আগেই প্রিডায়াবেটিসের সম্মুখীন হতে হয়। ডায়াবেটিস রোগের প্রাথমিক অবস্থা এটি। এ সময় রক্তে শর্করার মাত্রা যেহেতু অতটাও বাড়ে না, তাই একে ডায়াবেটিস না বলে প্রিডায়াবেটিস বলা হয়।
প্রাথমিক অবস্থায় শরীরে শর্করার মাত্রা বেড়ে যাওয়ার ফলে বিভিন্ন লক্ষণ প্রকাশ পায়। ডায়াবেটিসের সংকেত বলা হয় সেসব লক্ষণকে। হয়তো অনেকেই প্রাথমিক এসব লক্ষণ টের পান না। যার ফলাফল হয় মারাত্মক। ডায়াবেটিসের চেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ বলে মনে করা হয় প্রিডায়াবেটিসের সময়কালকে।
নয়াদিল্লির দিল্লি ডায়াবিটিস রিসার্চ সেন্টারের চেয়ারম্যান ডা. এ কে ঝিঙানের মতে, যদি চিনি খাওয়ার আগে ১২৬ এবং খাওয়ার পরে ১৮০ হয় তবে সবকিছু ঠিক আছে। তবে যদি খালি পেটে ১২৪ এবং খাওয়ার পরে ১৭৫-১৭৯ হয় তবে এটিকে প্রিডায়াবিটিস বলা হয়।
প্রিডায়াবিটিস আসলে কী?
রক্তে শর্করার মাত্রা যখন স্বাভাবিক থেকে কিছুটা উপরে থাকে তাকে প্রিডায়াবেটিস বলে। ডা. এ কে ঝিঙানের মতে, প্রিডায়াবিটিস হলেই সতর্ক হয়ে যেতে হবে। জীবনযাত্রার পরিবর্তন আনতে হবে তখন থেকেই। যাতে টাইপ -২ ডায়াবেটিস না হয়।
এইচবিএ ১ সি পরীক্ষায়, যদি আপনার সুগার ৪ থেকে ৫.৭ এর মধ্যে হয় তবে এটি স্বাভাবিক। তবে যদি এটি ৫.৭ থেকে ৬.৪ এর মধ্যে আসে তবে এটি প্রিডায়াবিটিস।
এটি ডায়াবেটিসের চেয়েও মারাত্মক হতে পারে। কারণ এটি কিডনি, হার্ট, পেশীর ক্ষতি করে। যদি সময়মতো প্রিডায়াবেটিরসন মুহূর্ত থেকে জীবনযাত্রায় পরিবর্তন আনা না যায়; তাহলে তা বিপজ্জনক হতে পারে।
যেসব কারণে প্রিডায়াবেটিস হতে পারে-
১. ইনসুলিন হরমোন যখন শরীরে ভারসাম্যহীন থাকে; তখন তা ডায়াবেটিসের কারণ হয়ে দাঁড়ায়। অন্যদিকে গ্লুকোজ স্তর রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়িয়ে তোলে। যার ফলাফল ডায়াবেটিস।
২. অতিরিক্ত ওজন থাকলে প্রিডায়াবেটিসের ঝুঁকি বেড়ে যায়। এক্ষেত্রে ফ্যাট কোষগুলো ইনসুলিন প্রতিরোধের চেষ্টা করে এবং তারপরে দীর্ঘস্থায়ী স্থূলতা ডায়াবেটিসের কারণ হয়।
৩. এ ছাড়াও অনিয়মিত জীবন-যাপন ও শরীরচর্চার অভাবে ডায়াবেটিসে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি বেড়ে যায়।