করোনাভাইরাস সংক্রমণ প্রতিরোধে বিশ্বজুড়ে টিকার সংখ্যা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যাকে ছাড়িয়েছে বলে জানায় বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (হু)। শুক্রবার সুইজারল্যান্ডের জেনেভায় প্রধান কার্যালয় থেকে সংস্থাটির প্রধান এক ওয়েবিনারে এই তথ্য জানান।
হু-এর ডাইরেক্টর জেনারেল টেড্রস আধানোম গ্যাব্রিয়েসুস তার বক্তব্যে জানান, টিকার সংখ্যা ভাইরাস সংক্রমণের সংখ্যাকে ছাড়ালেও বিশ্বে মোট টিকার চারভাগের তিনভাগই মাত্র ১০টি দেশে রয়েছে।
হু প্রধান বলেন, ‘একদিক থেকে এটি শুভ সংবাদ এবং অল্প সময়ের মধ্যে অসাধারণ এক অর্জন।’
টেড্রস আধানোম গ্যাব্রিয়েসুস জানান, প্রায় ১৩০টি দেশের দুই শ’ ৫০ কোটি মানুষ এখনো টিকার সুবিধা থেকে বঞ্চিত।
টেড্রস মোট টিকার সংখ্যা জানাননি। তবে যুক্তরাষ্ট্রভিত্তিক জন হপকিন্স ইউনিভার্সিটি অব মেডিসিন তথ্যানুসারে, বিশ্বজুড়ে ১০ কোটি ৫৮ লাখের বেশি লোক করোনাভাইরাস সংক্রমণে আক্রান্ত হয়েছে। অপরদিকে ভাইরাস সংক্রমণে ২৩ লাখের বেশি লোকের মৃত্যু হয়েছে।
হু প্রধান বিশ্বের সব দেশের সরকারকে তাদের জনগণকে রক্ষার আহ্বান জানান।
ইতোমধ্যেই কিছু দেশ তার জনসংখ্যার বেশিরভাগকে টিকার আওতায় আনার কথা জানিয়ে টেড্রোস বলেন, ‘কিন্তু টিকার অধিকারী দেশগুলো যখন তাদের নিজস্ব স্বাস্থ্যকর্মী ও অপেক্ষাকৃত বেশি বয়সী লোকদের টিকা দিয়ে ফেলবে, তখন তাদের বাকি জনসাধারণকে রক্ষার উত্তম উপায় হলো অন্য দেশগুলোকে টিকা সরবরাহ করা যাতে তারাও একই কাজ করতে পারে।’
তিনি বলেন, ‘কেননা অন্য জায়গায় ঝুঁকিতে থাকা মানুষকে টিকার আওতায় আনতে যত বেশি সময় লাগবে, ততই আমরা ভাইরাসের রূপ পরিবর্তন ও ভ্যাকসিনের বিরুদ্ধে সক্ষমতা অর্জনের সুযোগ দেবো।’
টেড্রস সতর্কতা জানিয়ে বলেন, যদি বিশ্ব ভাইরাসকে দমনে সক্ষম না হয়, তবে ভাইরাস সংক্রমণ পরিস্থিতি আবার শুরুতেই ফিরে যাবে।
সূত্র : আনাদোলু এজেন্সি