জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ে আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের একাংশ হলে অবস্থান করার ঘোষণা দিয়ে সাময়িকভাবে আন্দোলন স্থগিত করেছেন। এদিকে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন থেকে শিক্ষার্থীদের হল ছাড়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।
মঙ্গলবার (২৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুর ১টায় বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিবহন চত্বরে সাংবাদিকদের কাছে ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীরা।
এ সময় নাটক ও নাট্যতত্ত্ব বিভাগের ৪৫তম ব্যাচের শিক্ষার্থী নোশিন আদিবা বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের অধিকাংশ দাবি মেনে নিয়েছে। এ কারণে আমাদের আন্দোলনের সকল কর্মসূচি স্থগিত করছি। তবে শিক্ষার্থীদের নিরাপত্তা ও ভোগান্তির বিষয়টি বিবেচনা করে আমরা হলে থাকব।
আন্দোলনকারী শিক্ষার্থী তাবিয়া ইসলাম বলেন, বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন আমাদের সকল দাবি মেনে নেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন। আমাদের হলে থাকতে কোনো বাঁধা দিবেন না বলে প্রতিশ্রুতি দিয়েছে। তার পরিপ্রেক্ষিতে আমরা আন্দোলন সাময়িক স্থগিত করেছি। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন তাদের প্রতিশ্রুতি ভাঙলে আমরা আবারও সাধারণ শিক্ষার্থীদের সঙ্গে নিয়ে আন্দোলনে নামব।
আন্দোলনকারীদের এমন ঘোষণার পরই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাধ্যক্ষ কমিটির সভাপতি অধ্যাপক মোতাহার হোসেন বলেন, বিশ্ববিদ্যালয়ের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী সকল প্রভোস্ট হলে চলে গেছে। তারা শিক্ষার্থীদের বোঝাবেন, যতক্ষণ শিক্ষার্থীরা হল না ছাড়বে ততক্ষণ তারা হলে অবস্থান করবে। আমরা আশাবাদী, শিক্ষার্থীরা রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধাশীল। তারা রাষ্ট্রীয় আইনের প্রতি শ্রদ্ধা রেখে হল ত্যাগ করবে।
উল্লেখ্য, গত ১৯ ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যায় ক্রিকেট টুর্নামেন্টকে কেন্দ্র করে বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষার্থীদের উপরে হামলা করে স্থানীয়রা। এ হামলায় অন্তত ৪০ জন শিক্ষার্থী ও ৪ জন স্থানীয় বাসিন্দা আহত হয়। এর মধ্যে ১১ জন শিক্ষার্থী গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন আছেন।
হামলা ও সংঘর্ষের পরে স্থানীয় মেসগুলোতে অবস্থান করতে ‘নিরাপত্তার অভাব’ দেখিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের আবাসিক হলগুলো খুলে দেওয়ার দাবি জানান শিক্ষার্থীরা। তবে সরকারের নির্দেশনা ছাড়া হল খোলা সম্ভব নয় জানায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। এরপরই সবগুলো আবাসিক হলের তালা ভেঙে হলে প্রবেশ করেন শিক্ষার্থীরা। তবে পরবর্তীতে আবারও কয়েকটি হলে তালা ঝুলিয়ে দেয় সংশ্লিষ্ট হল প্রশাসন।