যে দেশের সরকারের একগুঁয়েমি সিদ্ধান্তের কারণে ১৯৫২ সালের ২১শে ফেব্রুয়ারি ভাষার দাবিতে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের রাজপথ রক্তে রঞ্জিত হয় সেই পাকিস্তানেই এখন দিনটি পালিত হচ্ছে শ্রদ্ধার সঙ্গে।
সরকারিভাবে পালিত না হলেও পাকিস্তানে বিভিন্ন সংস্থা ও সংগঠন পালন করে আসছে আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস।
১৯৫২ সালে মাতৃভাষা বাংলাকে রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে যে আন্দোলন হয়েছে তা দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়ে রাষ্ট্রভাষা হিসেবে নিজেদের ভাষারও স্বীকৃতি দাবি করছে পাকিস্তানের বিভিন্ন অঞ্চলের নানান ভাষাভাষী মানুষরা।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে তাই পাকিস্তানের বিভিন্ন শহরে আয়োজন করা হচ্ছে নানা অনুষ্ঠানের।গত কয়েকবছর ধরেই, উর্দুর পাশাপাশি পাঞ্জাবিকেও রাষ্ট্রভাষা করার দাবিতে লাহোরে র্যালি করছে ওই ভাষাভাষী মানুষেরা। পাকিস্তান পাঞ্জাবি আদাবি বোর্ড বিভিন্ন সাংস্কৃতিক দলের সঙ্গে মিলে এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করছে যাতে যোগ দিচ্ছে হাজার হাজার মানুষ। এসব র্যালিতে অংশগ্রহণকারীরা ঢোলের তালে নাচেন এবং মাতৃভাষা নিয়ে লেখা সম্বলিত প্ল্যাকার্ড উচিয়ে পাঞ্জাবি গান গাইতে থাকেন। লাহোরের এই আয়োজনে অংশগ্রহণকারীদের মধ্যে থাকেন এক্টিভিস্ট, বুদ্ধিজীবী, লেখক এবং স্কুলপড়ুয়া শিক্ষার্থীয়া।
পাকিস্তানের গণমাধ্যম ডন তাদের এক প্রতিবেদনে বলেছে, আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষ্যে এই র্যালিতে যোগ দিতে কাসুর, রাইউইন্দসহ অন্যান্য শহর থেকেই লোকজন আসেন।