পুলিশের হাত থেকে দলীয় কর্মীকে ছাড়িয়ে এনে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে আলোচিত হয়েছেন অবিভক্ত ঢাকার সাবেক মেয়র বীর মুক্তিযোদ্ধা সাদেক হোসেন খোকার ছেলে ও বিএনপি নেতা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন।
ইশরাকের প্রশংসা করে রফিকুল ইসলাম মিন্টু নামে এক লোক তার ফেসবুক আইডিতে লিখেন, ‘একজন ইশরাক ভাই, তুমিই বীর তুমিই একমাত্র নির্ভেজাল সাহসী সৈনিক।
আজ প্রেসক্লাবে বিএনপির শান্তিপূর্ণ সমাবেশে মাফিয়াতন্ত্রের পুলিশ বাহিনী যখন হামলা চালাচ্ছে সবাই দৌড় দিলেও ইশরাক ভাই দাঁড়িয়ে ছিলেন, তার একটা কর্মী পুলিশের হাতে থাকা পর্যন্ত সে ওখান থেকে আসতে চায়নি তাকে জোর করে ভেতরে নেয়ার চেষ্টা করা হচ্ছিল, পুলিশের উপর্যুপরি লাঠির আঘাত সহ্য করেই কর্মীদের ছায়া দিচ্ছিলেন।।
এক পর্যায়ে তাকে ভেতরে নেয়া হলো, তখনও একজন কর্মী পুলিশের হাতে আটক অবস্থায় একের পর এক লাঠির আঘাত সহ্য করছেন, মাথা ফেটে রক্ত ঝরছে….
সেই কর্মী ইশরাক ভাইয়ের দিকে তাকিয়ে চিৎকার করছে…. ইশরাক ভাই তাকে ফেলে নিরাপদে জান নাই, আবারো দৌড়ে আসেন পুলিশের লাঠি বৃষ্টির নিচে, সেই আহত কর্মীকে পুলিশের হাত থেকে কেড়ে নিয়ে ভেতরে যেয়েই বসে থাকেন নি, সেও আহত অবস্থায় তার আহত কর্মীদের নিয়ে ছুটে গেলেন ঢাকা মেডিকেলে……
হাজার স্যালুট ইশরাক ভাই।
আপনাকেই প্রয়োজন এই অবৈধ সরকারের হাত থেকে গণতন্ত্র, দেশ ও দেশের মানুষকে মুক্তি করতে!!”
এরকম হাজারো স্ট্যাটাসের মাধ্যমে দলীয় নেতাকর্মীরা তার ভূয়সী প্রশংসা করেন।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ডিএসসিসিতে মেয়র পদে নির্বাচন করা ইঞ্জিনিয়ার ইশরাক হোসেন নয়া দিগন্তকে বলেন, ‘আমি বিশেষ কিছু করেছি বলে মনে হয় না। ওই ছেলেটি আমার পাড়ার ছেলে। সে রাজনীতির সাথে যুক্ত ছিল না। আমাকে দেখে উদ্বুদ্ধ হয়ে রাজনীতিতে এসেছে। তাকে এভাবে ফেলে রেখে তো আমি যেতে পারি না। আমার জীবন যদি চলেও যায় আমার নেতাকর্মীকে অনিরাপদ রেখে আমি যেতে পারি না। এটা আমার কাছে নেতা হিসেবে রাজনৈতিক দায়িত্বের চাইতে বড় নৈতিক দায়িত্ব বলে মনে হয়।’