নৌপরিবহন প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী বলেছেন, শেখ হাসিনার নেতৃত্বে পরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে দেশ এগিয়ে যাচ্ছে। এভাবে চলতে থাকলে ২০৩০ সালের মধ্যে পুরো দেশের চেহারা পাল্টে যাবে। অতীতের সরকারের অপরিকল্পিত উন্নয়ন ভাবনা এবং প্রকল্পে লুটপাটের কারণে আমরা ক্রমশ: পিছিয়ে যাচ্ছিলাম। এখন প্রতিটি প্রকল্প স্বচ্ছভাবে পরিচালিত হওয়ায় উন্নয়ন কার্যক্রম ত্বরাণ্বিত হচ্ছে। তিনি বলেন, দেশের মানুষের চাওয়া আমরা পূরণ করতে পেরেছি। মানুষ কি চায়, তা জানার জন্য আমরা ঘরে-ঘরে যাচ্ছি। গ্রামীণ উন্নয়নে প্রতিনিয়ত নতুন প্রকল্প গ্রহণ করছি।
নৌ প্রতিমন্ত্রী আরো বলেন, রাজনীতি, উন্নয়ন, গণতন্ত্র একসাথে চালাতে হবে। যা চালকের আসনে থেকে পরিচালিত করছেন শেখ হাসিনা। সকল পর্যায় থেকে দূর্ণীতি দূর করতে তিনি কঠোর অবস্থানে রয়েছেন। তার যোগ্য নেতৃত্বে করোনাকালীন এই কঠিন সময়েও বাংলাদেশের অর্থনীতি মজবুদ অবস্থানে রয়েছে।
প্রতিমন্ত্রী আজ শনিবার বিয়ানীবাজার দুপুরে উপজেলার দুবাগ ইউনিয়নের সীমান্তবর্তী শেওলা স্থলবন্দরের উন্নয়ন কার্যক্রম উদ্বোধন উপলক্ষে অনুষ্টিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপরোক্ত কথাগুলো বলেন। কাগুজে তালিকায় পড়ে থাকা এই বন্দর আধুনিকায়নের মাধ্যমে পুরো এলাকাকে বিনিয়োগ বান্ধব জনপদ হিসেবে গড়ে তোলার প্রক্রিয়া শুরু হবে।
বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষের চেয়ারম্যান কে এম তারিকুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন অতিরিক্ত কাস্টমস কমিশনার রাশেদুল হাসান, সিলেটের জেলা প্রশাসক কাজি এম এমদাদুল ইসলাম, ইউএনও মৌসুমী মাহবুব, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার (জকিগঞ্জ সার্কেল) সুদীপ্ত রায় ও আওয়ামীলীগ সভাপতি আতাউর রহমান খান। উপস্থিত ছিলেন সিলেট জেলা আওয়ামী লীগ সদস্য মুহাম্মাদ জাকির হুসেন, বিয়ানীবাজার আওয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক দেওয়ান মাকসুদুল ইসলাম, আওয়াল, ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সালাম প্রমুখ।
১২৪ কোটি টাকা ব্যায়ে শেওলা স্থলবন্দরকে পূর্ণাঙ্গ রুপ দেয়া হচ্ছে। নৌ পরিবহণ মন্ত্রনালয়ের অধীনে বাংলাদেশ স্থলবন্দর কতৃপক্ষ এই প্রকল্প বাস্তবায়ণ করছে। বাংলাদেশ রিজিওনাল কানেকটিভিটি প্রজেক্ট-১ এর আওতায় বিশ্ব ব্যাংকের অর্থায়নে প্রকল্পের কাজ শুরু হয়েছে। আগামী ২ বছরের মধ্যে প্রকল্পের কাজ শেষ হতে পারে।
উদ্বোধন অনুষ্ঠানের পূর্বে প্রতিমন্ত্রী শেওলা বন্দর ঘুরে দেখেন।
নৌপরিবহন মন্ত্রণালয়ের প্রতিমন্ত্রী খালিদ মাহমুদ চৌধুরী আজ সিলেটের বিয়ানীবাজারস্থ “শেওলা স্থলবন্দরের ভিত্তিপ্রস্থর” স্থাপন করেন।