spot_img

যে উপায়ে পেটের চর্বি কমাবেন

অবশ্যই পরুন

পেটে চর্বি জমা বা ভুঁড়ি বাড়ার সমস্যা নিয়ে বিব্রত অনেকেই। পেটে বেশি চর্বি থাকলে কেবল খারাপই দেখায় না, মারাত্মক রোগের ঝুঁকিও বাড়ে। পেটের বাড়তি চর্বি হার্টের রোগ, টাইপ ২ ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপ ও অন্যান্য জটিল সমস্যায় ভোগাতে পারে।

অসংখ্য হরমোন পেটে চর্বি জমাতে ভূমিকা রাখে, কিন্তু ইনসুলিন হলো শরীরের প্রধান ফ্যাট স্টোরেজ হরমোন। পেটে চর্বি জমাতে না চাইলে ইনসুলিনের উৎপাদন কমাতে হবে। ইনসুলিন উৎপাদন কমানোর সর্বোত্তম উপায় হলো ডায়েট থেকে কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে ফেলা এবং পর্যাপ্ত পরিমাণে ফ্যাট ও প্রোটিন খাওয়া। এছাড়া দুশ্চিন্তা কমাতে হবে, বেশি করে ঘুমাতে হবে ও প্রচুর পরিমাণে সবুজ শাকসবজি খেতে হবে। পেটের চর্বি কমাতে লাইফস্টাইলে পরিবর্তন আবশ্যক। পেটের চর্বি কমানোর কিছু কার্যকর উপায় জেনে নিন।

* প্রোটিন খাওয়ার পরিমাণ বাড়ান: পেটের চর্বি কমানোর একটি দ্রুত উপায় হলো প্রোটিন খাওয়ার মাত্রা বাড়ানো ও কার্বোহাইড্রেট কমিয়ে দেয়া। কিন্তু তাই বলে পালিও ডায়েট অনুসরণ করতে বলা হচ্ছে না। শরীরে প্রোটিনের কাজ হলো পেশি গঠন করা ও পেশির ঘনত্ব বাড়ানো। পেশির ঘনত্ব যত বাড়বে, শরীর তত বেশি চর্বি পোড়াতে পারবে। সাদা পাউরুটি ও পাস্তার মতো সরল কার্বোহাইড্রেট বাদ দিয়ে গোটা শস্যের মতো জটিল কার্বোহাইড্রেট, মৌসুমী ফল, মূলীয় সবজি ও স্কোয়াশ জাতীয় সবজি খান।

* ডায়েটে নারকেল তেল রাখুন: ভার্জিন কোকোনাট অয়েল বা নারকেল তেল খেলে কোমরের আকার ও পেটের চর্বি কমে। প্রতিদিন ২ টেবিল চামচ বা ৩০ এমএলের বেশি ভার্জিন কোকোনাট অয়েল খাবেন না।

* মানসিক চাপ কমাতে চেষ্টা করুন: মানসিক চাপ যে কারণেই সৃষ্টি হোক, তা দীর্ঘস্থায়ী হলে পেটে চর্বি জমতে পারে। দীর্ঘস্থায়ী মানসিক চাপ করটিসোল নামক হরমোনের উৎপাদন বাড়ায়। করটিসোল ইনসুলিনের উৎপাদন বাড়ায়। বাড়তি ইনসুলিন ওজন বৃদ্ধি করে, বিশেষ করে পেটে চর্বি জমায়। মানসিক চাপ কমাতে প্রশান্তিদায়ক কাজকর্মে যুক্ত হোন, যেমন- মেডিটেশন, গভীর শ্বাসক্রিয়া, প্রশান্তিদায়ক গোসল ও সবুজ পরিবেশে ঘুরে বেড়ানো। প্রতিদিনকার জীবনযাপনে মানসিক চাপ কমাতে পারলে পেটের চর্বি কমে যাবে।

* গ্রিন টি পান করুন: গ্রিন টিতে কোমরের আকার কমানোর উপাদান রয়েছে, যেটাকে ক্যাটেচিন বলে। পেটের চর্বি কমানোর ক্ষেত্রে গ্রিন টি হলো একটি পারফেক্ট ডিটক্স ড্রিংক। কফি পানের অভ্যাস থাকলে এখন থেকে এর পরিবর্তে গ্রিন টি পানের কথা বিবেচনা করতে পারেন। গবেষণায় দেখা গেছে, ওজন কমাতে দৈনিক চার-পাঁচ কাপ গ্রিন টি পানের প্রয়োজন রয়েছে। গ্রিন টি থেকে সর্বোচ্চ ফল পেতে চিনি ছাড়াই পান করুন, অথবা চিনির পরিবর্তে স্টেভিয়ার মতো ন্যাচারাল সুইটেনার ব্যবহার করতে পারেন। স্টেভিয়া রক্তে শর্করার মাত্রা বাড়ায় না।

* প্রতিরাতে পর্যাপ্ত ঘুমান: শরীরচর্চা ছাড়াই পেটের চর্বি কমানোর একটি বিস্ময়কর উপায় হলো প্রতিরাতে যথেষ্ট ঘুমানো। স্থূলতা ও পেটের চর্বির সঙ্গে স্লিপ এপনিয়ার ঘনিষ্ঠ সম্পর্ক রয়েছে। গবেষণায় স্লিপ এপনিয়ার রোগীদের পেটে অতিরিক্ত চর্বি পাওয়া গেছে। কিন্তু প্রতিরাতে সাত-আট ঘণ্টা ঘুমালে পেটের চর্বি কমতে পারে। পেটের চর্বি কমলে স্লিপ এপনিয়ার ঝুঁকিও কমে যাবে। স্লিপ এপনিয়ার রোগীদেরকে ওজন কমাতে পরামর্শ দেয়া হয়। ওজন কমাতে নিয়মিত পর্যাপ্ত ঘুম গুরুত্বপূর্ণ।

* খাবারে হলুদের ব্যবহার বাড়ান: হলুদে বিদ্যমান কারকুমিন হলো শক্তিশালী পলিফেনল, যা শরীরে চর্বি জমতে বাধা দেয়। কারকুমিন চর্বিকে ভেঙে ফেলতে পিত্তরসের প্রবাহ বাড়ায়। কেবল তা নয়, এটি শরীরে ইনসুলিন রেজিস্ট্যান্সের বিরুদ্ধেও লড়াই করে।

সর্বশেষ সংবাদ

আগামীতে চিকিৎসা ক্ষেত্রে যেন কোনো রাজনীতি না হয়: ক্রীড়া উপদেষ্টা

রাষ্ট্র সংস্কার ও পুনর্গঠনে চিকিৎসকদেরও পরামর্শ দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন যুব ও ক্রীড়া উপদেষ্টা আসিফ মাহমুদ সজীব ভূঁইয়া। আজ শনিবার (২৩...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ