spot_img

রুদ্ধশ্বাস ম্যাচে ভারতের বাজিমাত

অবশ্যই পরুন

সেঞ্চুরিয়ানে জিতেছে ভারত। বুধবার চার ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে দক্ষিণ আফ্রিকাকে হারিয়ে ভারত এগিয়ে গেল ২-১-এ।

সেঞ্চুরিয়নে ভারত প্রথমে ব্যাট করে তুলেছিল ৬ উইকেটে ২১৯ রান। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে ভারতের এটাই সর্বোচ্চ রান। কিন্তু এই বিশের ক্রিকেটে পাহাড়প্রমাণ রানও নিরাপদ নয়। শেষ ওভারে দক্ষিণ আফ্রিকার জেতার জন্য দরকার ছিল ২৫ রান। প্রোটিয়া ব্রিগেড ১১ রানে ম্যাচটা হারলেও ভারতের ক্রিকেটভক্তদের রক্তের গতি বাড়িয়ে দিয়েছিলেন ক্লাসেন (২২ বলে ৪১), ইয়ানসেনরা (১৭ বলে ৫৪)। শেষ ওভারে একসময়ে প্রোটিয়াদের জন্য জেতার সমীকরণ ছিল ৪ বলে ১৮ রান। অর্শদীপ সিং শেষ পর্যন্ত সূর্যকুমার যাদবের মুখের হাসি চওড়া করেন। দক্ষিণ আফ্রিকা সাত উইকেটে ২০৮ রানে থেমে যায়। কিন্তু ক্লাসেন ও ইয়ানসেন আরেকটু হলেই অসাধ্য সাধন করে ফেলতেন। তিলক বার্মার কীর্তিও হয়তো চাপা পড়ে যেত। কিন্তু ক্রিকেট-ঈশ্বর অন্য কিছু ভেবে রেখেছিলেন। সেই কারণেই জয়ের তিলক পড়লেন সূর্য। বলতে গেলে আফ্রিকার পুরুষ সিংহদের মুখের থেকে গ্রাস কেড়ে নিলো ভারত।

উল্লেখ্য, ২০০৭ সালে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ইংল্যান্ডের বিরুদ্ধে ডারবানে ২১৮ রান করেছিল ভারত। সেই ম্যাচে যুবরাজ সিং স্টুয়ার্ট ব্রডকে ছয় বলে ছয়টি ছক্কা হাঁকিয়েছিলেন। এতদিন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ডারবানের সেই ২১৮-ই ছিল সর্বোচ্চ। সেঞ্চুরিয়নে ভারত ছাপিয়ে যায় ১৭ বছর আগের সেই স্কোরকেও। সেঞ্চুরি হাঁকালেন তিলক বার্মা। তার জন্যই ভারত পৌঁছে যায় ২১৯ রানে। ভারতের ক্রিকেট ইতিহাসে লেখা থাকবে কনিষ্ঠ ফরম্যাটে এটাই ভারতের সর্বোচ্চ রান।

টস জিতে ভারতকে ব্যাট করতে পাঠায় দক্ষিণ আফ্রিকা। শূন্য রানে এক উইকেট চলে যায় ভারতের। সেখান থেকে যে ভারত ২১৯-এ পৌঁছবে তা কেউ কল্পনাও করেননি। তিন নম্বর পজিশনে নামেন অধিনায়ক সূর্যকুমার যাদব। কিন্তু এদিন অধিনায়ক তিলককে পাঠান তিনে। তার পর চলল তিলকের দাপট। তিনি এবং অভিষেক শর্মা ১০৭ রান জোড়েন। অভিষেক নিজে ২৫ বলে ৫০ রান করেন। তিলককে তিনে পাঠিয়ে যে ভুল করেননি অধিনায়ক সূর্য, তার প্রমাণ দেন এই তরুণ ব্যাটার। ম্যাচের সেরা তিলক বার্মা।

অভিষেক শর্মা ফিরে যাওয়ার পরে সূর্যকুমার যাদবও (১) দ্রুত ফিরে যান। বেশিক্ষণ টেকেননি হার্দিক পাণ্ডিয়া (১৮)। ৪ উইকেটে ১৩২ হয়ে যায় ভারত। রানের গতি যায় কমে। কিন্তু অন্যপ্রান্তে যে ছিলেন তিলক। তিনি শুরু করেন প্রলয়। কখনও সঙ্গী হিসেবে পান রিঙ্কু সিংকে, কখনও অভিষেক হওয়া রামনদীপকে। তিলক বার্মা এক মুহূর্তের জন্যও থামেননি।

৫৬ বলে ১০৭ রানে অপরাজিত থাকেন তিলক। ৮টি বাউন্ডারি ও ৭টি বিশাল ছক্কা মারেন তিনি। নিজের ইনিংস প্রসঙ্গে তিলককে বলতে শোনা গিয়েছে, ‘খুব খুশি আমি। দীর্ঘদিন ধরে এই মুহূর্তটারই অপেক্ষায় ছিলাম। চোট সারিয়ে ফিরে এসে সেঞ্চুরি করা অবিশ্বাস্য ব্যাপার। শুরুতে চ্যালেঞ্জিং ছিল। পরের দিকে উইকেট সহজ হয়ে যায়। আমি আর অভিষেক চাপে ছিলাম। আমাদের পার্টনারশিপটার খুব দরকার ছিল। আমরা ২০০-২১০ রান করার কথা ভাবছিলাম। আমাদের স্পিনাররা ভাল বল করছে। ওদের হাতে রানের পুঁজি থাকলে আরো ভালো বল করবে। ম্যাচটা আমরা জিতব।’

সর্বশেষ সংবাদ

আন্তর্জাতিক পরিমণ্ডলে বাংলাদেশ সম্পর্কে সত্য তথ্য তুলে ধরতে প্রধান উপদেষ্টার আহ্বান

প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক মুহাম্মদ ইউনুসের সঙ্গে সাক্ষাৎ করেছেন ভয়েস ফর গ্লোবাল বাংলাদেশি'জ-এর একটি প্রতিনিধি দল। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ