ইতিহাস ভুলে ও মুছে ফেলে বর্তমানকে নিয়ে আমরা মশগুল থাকতে পছন্দ করি, যা জাতির জন্য কল্যাণকর নয় বলে মন্তব্য করেছেন বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া।
তিনি বলেন, ইতিহাসে যার যেটুকু ভূমিকা, স্বীকার না করলে একদিন ইতিহাসই মুখ ফিরিয়ে নেবে। ইতিমধ্যে নিতে শুরু করেছে। বাংলাদেশ এক কঠিন ক্রান্তিকাল অতিক্রম করছে। রাজনীতিকেরা ক্ষমতার চশমায় নিজেরা যেমন সবকিছু দেখতে অভ্যস্ত তেমনি অন্যদেরও দেখতে বাধ্য করছেন। যা শুভ লক্ষণ নয়।
সোমবার (৮ ফেব্রুয়ারি) নয়াপল্টনের ন্যাপ কার্যালয়ে মওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের ৬৪তম বার্ষিকী উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
মোস্তফা ভুইয়া বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে অসংখ্য রাজনৈতিক কর্মসূচীর আয়োজন করেছিলেন, এর মধ্যে তার অবিস্মরণীয় কীর্তি এবং উপ-মহাদেশের তথা তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তান আজকের বাংলাদেশের একটি ঐতিহাসিক ঘটনা হচ্ছে ১৯৫৭ সালের ‘কাগমারী সম্মেলন’। উপ-মহাদেশ ও পূর্ব বাংলা তথা আজকের বাংলাদেশের রাজনীতিতে এর তাৎপর্য অনাগত কালের গবেষকদের কাছে স্বীকৃত।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, কাগমারী সম্মেলন থেকেই মওলানা ভাসানী বাংলাদেশের মানুষকে প্রত্যক্ষভাবে স্বাধীনতার স্বপ্ন দেখিয়েছিলেন। এই সম্মেলনেই মওলানা ভাসানী পশ্চিম পাকিস্তানি শাসকদের ‘আসসালামু আলাইকুম’ জানিয়েছিলেন। একটি নিরীহ ধর্মীয় সম্বোধন মওলানা ভাসানীর ‘আসসালামু আলাইকুম’ শব্দটি স্বাধীনতার সমার্থক শব্দ হয়ে দাড়িয়েছিল।
তিনি বলেন, ভাবতে অবাক লাগে, এই বাংলাদেশেই ১৯৫৭ সালের ফেব্রুয়ারী মাসে টাঙ্গাইলের কাগমারীতে মজলুম জননেতা মওলানা আবদুল হামিদ খান ভাসানী আওয়ামী লীগের সম্মেলন সামনে রেখে একটি আন্তর্জাতিক সাংস্কৃতিক সম্মেলনের আয়োজন করেছিলেন।
ভুইয়া আরও বলেন, ঐতিহাসিক কাগমারী সম্মেলনের মাধ্যমেই তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের স্বায়ত্ব শাসন ও স্বাধীকার আন্দোলনের সূচনা হয়েছিল। সাম্রাজ্যবাদী-আধিপত্যবাদী শক্তির বিরুদ্ধে এ অঞ্চলের জনগনকে ঐক্যবদ্ধ ও সচেতন করতে এই সম্মেলন গুরুত্বপূর্ন ভুমিকা পালন করেছিল।
আরও বক্তব্য রাখেন এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, গণতান্ত্রিক ঐক্যের আহ্বায়ক রফিকুল ইসলাম, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, সোনার বাংলা পার্টির সাধারন সম্পাদক সৈয়দ হারুন-অর-রশিদ, সমাজতান্ত্রিক মজদুর পার্টি সাধারন সম্পাদক ডা. সামছুল আলম, ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু প্রমুখ।