চায়ের আগে, চায়ের পরে কয়েক ওভারের ধাক্কায় ২৫৯ রানে গুটিয়ে গেছে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তাতে ১৭১ রানের লিড নিয়ে দ্বিতীয় ইনিংসে ব্যাট করতে নামছে বাংলাদেশ।
চট্টগ্রামে তৃতীয় দিনের সকালে তিন উইকেট হারিয়েও শক্ত একটা প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিল ওয়েস্ট ইন্ডিজ। তার পথ হারায় চাবিরতির আগে-আগে।
টি-ব্রেকে যাওয়ার আগে শেষ দুই ওভারে দুই উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। ৪২ রান করা ডি সিলভা নাঈমের আয়েশি এক বলে উইকেটরক্ষকের হাতে ধরা পড়েন। শেষ হয় তার ১৪১ বলের প্রতিরোধ।
ঠিক পরের ওভারে মিরাজকে গ্ল্যান্স করতে গিয়ে ওই উইকেটরক্ষকের হাতে আটকে যান ৬৮ রান করা ব্ল্যাকউড। তিনি খেলেছেন ১৪৬ বল।
বিরতি থেকে ফিরে ঠিক পরের ওভারে আবার উইকেট পান মিরাজ। কেমার রোচ মিড উইকেট দিয়ে মারতে গিয়ে ধরা পড়েন বদলি ফিল্ডার মোহাম্মদ মিথুনের হাতে।
এক ওভার বাদে আবার দৃশ্যপটে মিরাজ। প্রথম ইনিংসে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো এই অলরাউন্ডার এবার বোল্ড করেন রাকিমকে।
বৃহস্পতিবারের দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান শুক্রবার সকাল-সকাল ফিরে যান। এনক্রুমাহ বোনারকে (১৭) ফেরান তাইজুল ইসলাম। সামনের পায়ে ডিফেন্স করতে গিয়ে ঘূর্ণিতে বোকা বনে যান। বাইরের কানায় লেগে বল চলে যায় প্রথম স্লিপে। ধরে ফেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত।
পরের আঘাত নাঈমের। ক্রেইগ ব্র্যাথওয়েট তার প্রথম ভুলেই বিদায় নেন। দারুণ ব্যাট করতে থাকা এই তারকা বোল্ড হন ৭৬ রানের মাথায়।
এরপর ৪০ রান করা কাইল মায়ার্সকে এলবিডব্লিউর ফাঁদে ফেলেন মিরাজ।
লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা প্রথম ইনিংসে ৪৩০ রান করতে শুরুতে ধুঁকলেও সাকিব আল হাসান এবং প্রথম সেঞ্চুরি হাঁকানো মেহেদী হাসান মিরাজের কল্যাণে পথ খুঁজে পায়। তাদের আগে ওপেনার সাদমান ইসলাম (৫৯) বড় স্কোরের ভিত গড়ে দেন।
বাংলাদেশের হয়ে লিটন দাস ৬৭ বলে ৩৮ করেন। লিটন ফেরার পর মিরাজকে নিয়ে সাকিব দারুণ আত্মবিশ্বাসে খেলতে থাকেন। নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে টেস্টে ফেরার ম্যাচে ১১০ বলে তুলে নেন হাফসেঞ্চুরি। টেস্টে তার এটি ২৫তম ফিফটি।
শেষ পর্যন্ত ১৫০ বলে ৫ চারে ৬৮ রান করেন সাকিব। মিরাজের সঙ্গে তার সপ্তম উইকেট জুটি ছিল ৬৭ রানের।
মিরাজ আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম সেঞ্চুরির দেখা পান ১৬১ বলে। ম্যাজিক ফিগারে পৌঁছাতে ১৩টি চার হাঁকান তিনি।
মিরাজের আউটেই শেষ হয় বাংলাদেশের প্রথম ইনিংস। ১৫১তম ওভারে রাকিমকে ডাউন দ্য উইকেটে এসে মারতে গিয়ে বাউন্ডারিতে ধরা পড়েন। ১৬৮ বলে শেষ হয় তার ১০৩ রানের ইনিংস।