রোহিঙ্গা ইস্যুতে বাংলাদেশের পাশে আছি বলে জানিয়েছেন ঢাকায় নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত আর্ল রবার্ট মিলার।বৃহস্পতিবার (৪ ফেব্রুয়ারি) বিকেলে সচিবালয়ে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলামের সঙ্গে সাক্ষাৎ শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে তিনি এ কথা জানান।
আর্ল রবার্ট মিলার বলেন, রোহিঙ্গা ইস্যুতে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের মাধ্যমে আমরা বাংলাদেশের পাশে আছি। বাংলাদেশ দীর্ঘদিন ধরে রোহিঙ্গাদের বহন করে যাচ্ছে। এ বিষয়ে আমরা সবাই মিলে একযোগে কাজ করবো।
বর্তমানে বাংলাদেশে ১১ লাখের বেশি রোহিঙ্গা আশ্রিত আছে। তাদের কক্সবাজারের উখিয়া ও টেকনাফের পাহাড়ের ৩৪টি শিবিরে আশ্রয় দেওয়া হয়েছে। এদের ফেরত নিতে মিয়ানমার বাংলাদেশের সঙ্গে চুক্তিবদ্ধ হওয়ার তিন বছরেও প্রত্যাবাসন শুরু হয়নি। সর্বশেষ গত ১৯ জানুয়ারি মিয়ানমারের সঙ্গে ভার্চ্যুয়াল বৈঠকে বসে বাংলাদেশ। ওই বৈঠকের পর বছরের দ্বিতীয় প্রান্তিকে রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন শুরুর প্রত্যাশার কথা জানিয়েছিলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রসচিব মাসুম বিন মোমেন।
সাক্ষাৎ শেষে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী মো. তাজুল ইসলাম বলেন, পোশাক রপ্তানিসহ বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের মধ্যে ইনভলভমেন্ট আছে। আমাদের স্বাধীনতা যুদ্ধে মার্কিন জনগণ বিভিন্নভাবে সহায়তা করেছে এবং আমাদের পাশে ছিল। তারা আমাদের স্বীকৃতি দেওয়ার পর থেকে বিভিন্ন সময় পাশে থাকার আগ্রহ প্রকাশ করেছে এবং পাশে ছিল।
তিনি বলেন, আমাদের সব সিটি করপোরেশন ইস্যুতে কাজ করতে চায় তারা। তাদের একটা প্রোগ্রাম আছে সিডিসি, সেটা নিয়ে আমাদের সঙ্গে কাজ করতে চায়। এ ব্যাপারে তাদের একটি আগ্রহের কথা প্রকাশ করেছেন। আমি অভিনন্দন জানাই।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে স্থানীয় সরকার মন্ত্রী বলেন, এটা কোনো টাকার প্রকল্প নয়, একটা দর্শন বা মডেল নিয়ে কাজ করবে তারা। মূলকথা হল আমাদের এখানে একটা মডেল ডেভলপ করতে চাচ্ছে তারা। সিঙ্গাপুর ও ইউরোপের বিভিন্ন দেশসহ পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে তাদের এ মডেলটা আছে।