শীতের প্রকোপে ভোগান্তীতে রয়েছেন নিন্ম আয়ের মানুষ। আর বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষীসহ মৌসুমী সবজী চাষীরা। এদিকে হাসপাতালগুলোতে বাড়ছে ঠান্ডা জনিত রোগীর সংখ্যা। অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন চিকিৎসকরা।
কমছে তাপমাত্রা বইছে মৃদু শৈত্য প্রবাহ। এই তাপমাত্রার সাথে ঠান্ডা বাতাস প্রবাহিত হওয়ায় শীত অনুভুত হচ্ছে একটু বেশি। এমন অবস্থায় ভোগান্তীতে রয়েছেন শ্রমজীবী ও নিন্ম আয়ের মানুষ। তারা আগুনের উত্তাপ নিয়ে চেষ্টা করছেন কিছুটা উষ্ণতা নেয়ার। আর বিপাকে পড়েছেন বোরো চাষীসহ মৌসুমী সবজী চাষীরা।
ভোরে ঘন খুয়াশা আর শীতল বাতাসে ফসলের মাঠে নামতে পারছেন না চাষীরা। কৃষি কাজে নেমে এসেছে ধীর গতি। সূয়ের আলো বাড়ার পর কাজে যেতে হচ্ছে চাষী ও চাশ্রমিকসহ শ্রমজীবিরা। ঠান্ডায় ভোগান্তিতে পড়েছেন তারা।
মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট হাসপাতালের তত্বাবধায়ক ডা: পার্থ সারথী দত্ত কানোনগো জানান, জেলার হাসপাতালগুলোতে বেড়ে গেছে ঠান্ডাজনিত শিশু ও বয়স্ক রোগীর সংখ্যা। তবে মৌলভীবাজার হাসপাতালে বয়স্ক রোগীর চেয়ে শিশুরোগী গত ২/৩দিনে বেড়েছে। আজ মৌলভীবাজার ২৫০ শয্যা হাসপাতালে নিউমনিয়া আর ডায়রিয়া শিশু রোগী ভর্তি রয়েছেন প্রায় ৫০ জন। শীতের সময় শিশুদের পরিচ্ছন্ন ও গরম কাপড় পরিধান সহ অভিভাবকদের সচেতন থাকার পরামর্শ দিচ্ছেন তিনি।
এ অবস্থায় জেলায় প্রায় ৪০ হাজারেরও অধিক কম্বল বিতরণ করেছে জেলা প্রশাসন। এছাড়া ৭টি উপজেলায় কম্বল বিতরণের জন্য নগদ আরো ১১ লক্ষ টাকা বিতরণ করা হয়েছে।