অস্ট্রেলিয়ার পার্থ শহরে একটি কোয়ারেন্টাইন হোটেলের এক নিরাপত্তাকর্মী করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হওয়ার পর পুরো শহরে পাঁচ দিনের লকডাউন ঘোষণা করা হয়েছে। রোববার (৩১ জানুয়ারি) থেকে পার্থের প্রায় বিশ লাখ অধিবাসীকে অবশ্যই বাড়িতে অবস্থান করার নির্দেশ দেয়া হয়। এছাড়া, পার্শ্ববর্তী পিল ও সাউথ ওয়েস্ট অঞ্চলেও এই নির্দেশ কার্যকর হবে।
সোমবার থেকে পার্থে স্কুল খোলার কথা থাকলেও এই ঘোষণার ফলে তা আবার পিছিয়ে গেল। স্থানীয়রা শুধুমাত্র শরীরচর্চা, চিকিৎসা, অতি প্রয়োজনীয় কাজ ও খাবার কেনার জন্য বাইরে বের হতে পারবেন। তবে ক্যাফে, বার ও রেস্টুরেন্ট বন্ধ থাকবে। এছাড়া, বিয়ের অনুষ্ঠানও নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়।
১০ মাসের মধ্যে ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ায় প্রথম কমিউনিটি সংক্রমণের ঘটনা ঘটলো। এরপরই পার্থ শহরে লকডাউনের ঘোষণা এলো। ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়ার প্রিমিয়ার মার্ক ম্যাকগোয়ান বলেন, আমাদের মডেল হল এটি অতি দ্রুত ও কঠোরভাবে মোকাবিলা করা। আমরা যেন এটা নিয়ন্ত্রণের মধ্যে আনতে পারি ও কমিউনিটি সংক্রমণ ঠেকাতে পারি সেজন্যই এই ব্যবস্থা।
কর্তৃপক্ষের ধারণা, অস্ট্রেলিয়ায় ফেরত আসা এক যাত্রী ওই হোটেলে কোয়ারেন্টাইনে থাকার সময় তার কাছ থেকে নিরাপত্তাকর্মী ভাইরাসে আক্রান্ত হন। ওই যাত্রী যুক্তরাজ্যে পাওয়া করোনাভাইরাসের নতুন ধরনে আক্তান্ত হন বলে ধারণা করা হচ্ছে। অস্ট্রেলিয়ায় এই ধরন আগেই শনাক্ত হয়। আক্রান্ত অবস্থায় ওই ব্যক্তি ডজনেরও বেশি জায়গায় গিয়েছেন বলে ধারণা করছেন স্বাস্থ্য কর্মকর্তারা। তার সংক্রমণের সঠিক উৎস বের করতে জিনগত পরীক্ষা চলছে।
ম্যাকগোয়ান বলেন, আমরা যেটা করার চেষ্টা করছি তা হল দীর্ঘ অসুবিধা এড়াতে সাময়িক অসুবিধার ব্যবস্থা, যেন ভবিষ্যতের স্বাস্থ্য ঝুঁকি এড়ানো যায়। অস্ট্রেলিয়া বেশ সফলভাবেই করোনা মহামারি সামাল দিতে পেরেছে। দেশটিতে আক্রান্তের সংখ্যা ২৮ হাজার ৮শ এর কিছু বেশি আর মৃত্যু হয়েছে ৯০৯ জনের।
সূত্র : এএফপির