বেসরকারিভাবে ৭৩৫টি কেন্দ্রের মধ্যে এ পর্যন্ত ৪৩০টি কেন্দ্রের ফলাফল পাওয়া গেছে। এতে নৌকার প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী পেয়েছেন ১ লাখ ৭২ হাজার ৬৭৯ ভোট। অপরদিকে বিএনপি প্রার্থী ধানের শীষের ডা. শাহাদাত পেয়েছেন ২৩ হাজার ৫৬৮ ভোট।
এদিকে, আনুষ্ঠানিক ফলাফল ঘোষণা না হলেও কাউন্সিলর পদে কারা কারা বিজয়ী হয়েছেন তা বেসরকারিভাবে জানা গেছে। এ পর্যন্ত প্রাপ্ত ফলাফলে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের চার বিদ্রোহী প্রার্থী জয়ী হয়েছেন। এছাড়া ফলাফলে বাকি আসনে আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থীরা জয় পেয়েছেন। তবে, নির্বাচনের আগে ৩১ নং ওয়ার্ডের কাউন্সিলর প্রার্থী তারেক সলেইমান মৃত্যুবরণ করায় এ ওয়ার্ডে নির্বাচন আগামী ২৮ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হবে।
বুধবার (২৭ জানুয়ারি) সকাল ৮টা থেকে নগরীর ৭৩৫টি কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ পরিবেশে ভোটগ্রহণ শুরু হয়। প্রথমবার ইভিএমে ভোট দিয়ে সন্তোষ জানান ভোটাররা। তবে, বেশিরভাগ কেন্দ্রে শান্তিপূর্ণ ভোট হলেও নির্বাচনে উত্তাপ ছড়িয়েছে কাউন্সিলর প্রার্থীরা। ৪১টি ওয়ার্ডের ৬টি স্থানে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। সবগুলো সংঘর্ষের ঘটনাই ঘটে তার সবক’টিই কাউন্সিলর প্রার্থীর সমর্থকদের মধ্যে। এসব ঘটনায় এক পথচারী নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছেন অন্তত ৩০ জন। দু’টি কেন্দ্রে ভোটগ্রহণ স্থগিত করা হয়েছে। গ্রেপ্তার হয়েছেন পাথরঘাটা ওয়ার্ডের বিএনপির সমর্থিত কাউন্সিলর প্রার্থী ইসমাইল বালি।
সকালেই বিভিন্ন কেন্দ্র থেকে এজেন্টদের বের করে দেয়ার অভিযোগ করেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। তিনি বলেন, শুধু আওয়ামী লীগের সাথে নয়, নির্বাচনে পুরো রাষ্ট্রযন্ত্রের বিরুদ্ধে ভোটে লড়ছেন তিনি। তবে নানা অভিযোগ করলেও শেষ পর্যন্ত ভোটের মাঠে থাকার ঘোষণা দেন বিএনপির মেয়রপ্রার্থী। পরে চট্টগ্রামবাসীকে ভোটের অধিকার থেকে আওয়ামী লীগ বঞ্চিত করেছে বলে অভিযোগ করেন শাহাদাত হোসেন।
অন্যদিকে, ভোট সুষ্ঠু হওয়ার দাবি করে জয়ের ব্যঅপারে আশাবাদী ছিলেন আওয়ামী লীগের মেয়র প্রার্থী রেজাউল করিম চৌধুরী। তিনি জানিয়েছিলেন, নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করতেই বিএনপি প্রার্থী মিথ্যা অভিযোগ করছেন।
উল্লেখ্য, চট্টগ্রাম সিটি নির্বাচনে মেয়র পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করছেন আওয়ামী লীগ, বিএনপিসহ সাতজন প্রার্থী।