প্রথম দিন শেষে ৩৩ রানে পাকিস্তানের উইকেট পড়েছিল চারটি। এই পাকিস্তান করাচি টেস্টে কতদূর এগোতে পারবে, তা নিয়ে সংশয় ছিল ঢের। কিন্তু পাকিস্তানের সাথে নানাভাবে জড়িয়ে আছে ‘অনুনমেয়’ শব্দটি। যার অর্থ, যাদের নিয়ে আগাম অনুমান করা যায় না। টেস্টের দ্বিতীয় দিনে বুধবার পাকিস্তান সেই কাজটি করে দেখালো। যা মাঝে মধ্যেই দেখা যায় দলটির মধ্যে।
যেখানে খুব অল্প রানে গুটিয়ে যাওয়ার শঙ্কা ছিল, সেখানে দ্বিতীয় দিনে সব শঙ্কা এক ফুৎকারে উড়িয়ে বরং বড় স্কোরের পথে হাঁটছে স্বাগতিক শিবির। দুর্বার প্রতিরোধে দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তানের সংগ্রহ ৮ উইকেটে ৩০৮ রান।
প্রথম ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা অল আউট হয়েছিল ২২০ রানে। ফলে দ্বিতীয় দিন শেষে পাকিস্তান এগিয়ে ৮৮ রানে। এমনটি সফল হয়েছে পাকিস্তানের তিন ব্যাটসম্যানের কারণে। দারুণ সেঞ্চুরি করেছেন ফাওয়াদ আলম। ফিফটির দেখা পেয়েছেন আজহার আলী ও ফাহিম আশরাফ।
প্রথম দিনের শেষ বেলায় পাকিস্তানের সংগ্রহ ছিল ৪ উইকেটে ৩৩ রান। সমান ৫ রানে অপরাজিত ছিলেন ফাওয়াদ ও আজহার। দ্বিতীয় দিনে এই দুজনের চোয়ালবদ্ধ ব্যাটিংয়ে পাকিস্তান পায় স্বস্তি। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ১২১ রান পর্যন্ত। ১৫১ বলের ৫১ রানের চরম ধৈর্যশীল ইনিংস খেলে বিদায় নেন আজহার। এই জুটিতে আসে ৯৪ রান, ২২৮ বলে।
এরপর মোহাম্মদ রিজওয়ানের সাথে জুটি গড়েন ফাওয়াদ। ১১৩ বলে এই জুটি থেকে আসে ৫৫ রান। ৩৩ রান করে এনগিদির বলে আউট রিজওয়ান। ফাওয়াদের সাথে সবচেয়ে ভালো জুটি জমে ফাহিম আশরাফের। এই জুটি দলকে নিয়ে যান ২৭৮ রান অবধি। ফাওয়াদকে আউট করে এই জুটি ভাঙেন এনগিদি। এই জুটিতে আসে গুরুত্বপূর্ণ ১০২ রান (১৫২ বলে)।
দারুণ প্রতিরোধ গড়া এক সেঞ্চুরি করে আউট হন ফাওয়াদ। ২২০ বলে ক্যারিয়ারের তৃতীয় টেস্ট শতক হাকান ফাওয়াদ। শেষ পর্যন্ত ২৪৫ বলে ১০৯ রানে ফেরেন তিনি। তার ইনিংসে ছিল ৯টি চার ও দুটি ছক্কার মার।
৮৪ বলে ৬৪ রানের দারুণ ইনিংস খেলেন ফাহিম আশরাফ। ক্রিজে দুই টেল এন্ডার হাসান আলী (১১) ও নোমান আলী (৬) আছেন অপরাজিত। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে সমান দুটি করে উইকেট লাভ করেন ক্যাগিসো রাবাদা, এনরিক নরজে, লুঙ্গি এনগিদি ও মাহারাজ।