প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা সোমবার বলেছেন, জলবায়ু পরিবর্তনের বিপর্যয়ের সাথে তাল মিলিয়ে বৈশ্বিক অভিযোজন কার্যক্রমের পাল্লা দেয়া আর্থিক ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।
তিনি বলেন, ‘জলবায়ু পরিবর্তনের বিরূপ প্রভাবের `গ্রাউন্ড জিরো’ হিসেবে বাংলাদেশকে প্রায়শই উল্লেখ করা হয়। ইতোমধ্যে হয়ে যাওয়া ক্ষতির অভিযোজন ভবিষ্যতের ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসের প্রক্রিয়ার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। কিন্তু বৈশ্বিক অভিযোজন কার্যক্রম আর্থিক ও রাজনৈতিক সদিচ্ছার অভাবে বিপর্যয়ের মাত্রার সাথে পাল্লা দেয়ার ক্ষেত্রে অনেক পিছিয়ে রয়েছে।’
ডাচ প্রধানমন্ত্রী মার্ক রোটের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত দুই দিনব্যাপী জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ২০২১-এ ভিডিও বার্তায় দেয়া বক্তব্যে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, সাম্প্রতিক সময়ের কোভিড-১৯ অভিজ্ঞতা একতাবদ্ধ হওয়া ও সময়মতো পদক্ষেপ নেয়ার গুরুত্বের প্রমাণ দিয়েছে।
শেখ হাসিনা বলেন, বাংলাদেশ স্থানীয়ভাবে অভিযোজন ব্যবস্থার বৈশ্বিক নেতা হিসেবে উদিত হয়েছে এবং নেদারল্যান্ডের সহায়তায় ব-দ্বীপ পরিকল্পনা ২১০০ তৈরি করেছে।
তিনি উল্লেখ করেন যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে সরকার এক কোটি ১৫ লাখ চারা রোপণ এবং ‘মুজিব জলবায়ু সমৃদ্ধি পরিকল্পনা’ নামে একটি কর্মসূচি চালু করেছে।
তিনি এ প্রসঙ্গে বলেন, বন বিনিয়োগ পরিকল্পনার সহায়তায় জাতীয় অভিযোজন পরিকল্পনা হবে ইউএনএফসিসিসি প্রক্রিয়ার জন্য মূল নীতিমালা।
সরকার নিজস্ব জলবায়ু পরিবর্তন ট্রাস্ট তহবিল থেকে ৪৪ কোটি ৩০ লাখ ডলারের ৭৮৯টি স্থানীয় সমাধান ভিত্তিক প্রকল্প গ্রহণ করেছে বলে জানান তিনি।
তিনি আরো বলেন, সিভিএফের সভাপতি এবং বৈশ্বিক অভিযোজন কেন্দ্রের দক্ষিণ এশিয়ান কার্যালয়ের স্বাগতিক দেশ হিসেবে বাংলাদেশ স্থানীয় পদ্ধতির অভিযোজনের প্রচার করছে যা বিশ্বের বিভিন্ন দেশের ঝুঁকিপূর্ণ সম্প্রদায়ের জন্য দৃশ্যমান সমাধান বয়ে আনতে পারবে।
নেদারল্যান্ডের আয়োজনে অনলাইনে আন্তর্জাতিক জলবায়ু অভিযোজন সম্মেলন ২০২১ চলবে ২৫ ও ২৬ জানুয়ারি। এতে জড়ো হয়েছেন বিশ্ব নেতা ও স্থানীয় অংশীজনরা।
জলবায়ু পরিবর্তনের প্রভাব থেকে আমাদের বিশ্বকে আরও সহনীয় করে তুলতে নতুন দৃশ্যমান উদ্যোগ ও অংশীদারিত্ব গড়ে তোলার লক্ষ্যে স্পষ্ট অঙ্গীকার পেতে এ সম্মেলনে একটি বিস্তৃত ‘অ্যাডাপ্টেশন অ্যাকশন এজেন্ডা’ গ্রহণ করা হবে।
সূত্র : ইউএনবি