কয়েকমাস পর নিউজিল্যান্ডে আবারও নতুন করে কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগী শনাক্ত হয়েছে। ইউরোপ থেকে ফেরা ৫৬ বছর বয়সী এক নারীর করোনা পজিটিভ হোন।
সোমবার দেশটির গণমাধ্যমের বরাত দিয়ে রয়টার্স এ তথ্য জানায়।
করোনার দায়িত্বে থাকা মন্ত্রী চেরিস হিপকিনস বলেন, ওই নারী গত ৩০ তারিখে ইউরোপ থেকে দেশে ফিরে ছিলেন। নিউজিল্যান্ডে ফেরার পর তিনি দুই সপ্তাহের বাধ্যতামূলক কোয়ারেন্টিন পালন করেন। তারও ১০ দিন পর সাউথ আফ্রিকান ভেরিয়েন্টে আক্রান্ত হয়েছে বলে জানা যায়।
ওই নারীর সংস্পর্শে কারা কারা এসেছেন তাদের ১৫ জনকে খুঁজে বের করা হয়েছে। এ কয়দিনে তিনি যেখানে যেখানে গেছেন তার একটি তালিকা স্থানীয় প্রশাসন থেকে প্রকাশ করা হয়েছে।
নিউজিল্যান্ডের স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয় জানায়, গত ১৩ জানুয়ারি কোয়ারেন্টিন সেন্টার ছাড়ার আগে ওই নারীর দুই বার কোভিড পরীক্ষা করা হয়েছিল এবং দুইবারই ফল ‘নেগিটিভ’ এসেছিল।
কিন্তু সেখান থেকে বাড়ি ফেরার দুই দিন পর তার শরীরে মৃদু উপসর্গ দেখা দেয় এবং দিন দিন অসুস্থতা বাড়তে থাকে। পুনরায় কোভিড-১৯ পরীক্ষায় শনিবার তার ফলাফল ‘পজিটিভ’ আসে। বর্তমানে তিনি বাড়িতে আইসোলেশনে আছেন।
প্রশাসন থেকে ওইসব স্থানে ওই নারীর ভ্রমণের সময় উল্লেখ করে একটি তালিকা প্রকাশ করেছে এবং বলেছে, সেই সময়ে যারা যারা ওইসব জায়গায় উপস্থিত ছিলেন তারা যেনে নিজেদের ‘সম্ভাব্য সংক্রমিত’ ধরে নিয়ে বাড়িতে আইসোলেশনে থাকেন এবং ‘শরীরে উপসর্গ না থাকলেও কোভিড-১৯ পরীক্ষা করান’।
এদিকে ওই রোগী শনাক্ত হওয়ার পর নিউজিল্যান্ডের সাথে ৭২ ঘণ্টার জন্য ভ্রমণে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে অস্ট্রেলিয়া।
এবিষয়ে নিউজিল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাসিন্ডা আরডার্ন গণমাধ্যমকে বলেন, ‘আমাদের সিস্টেম ও প্রক্রিয়ার বিষয়ে আমাদের আস্থা আছে, তবে তারা কীভাবে তাদের সীমানা পরিচালনা করবে, সেটা অস্ট্রেলিয়ার সিদ্ধান্ত।
কোভিড-১৯ মহামারীর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে সব থেকে সফল ও প্রশংসিত দেশগুলোর একটি নিউজিল্যান্ড।
৫০ লাখ মানুষের দেশ নিউজিল্যান্ডে এখন পর্যন্ত ১,৯২৭ জন কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছেন। মারা গেছেন মাত্র ২৫ জন।