তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ হেরে যাবার পর, সোমবার জহুর আহমেদ চৌধুরি স্টেডিয়ামে সিরিজের তৃতীয় ম্যাচ জিতে আইসিসি সুপার লিগর ১০ পয়েন্ট অর্জনে চোখ সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ দলের । ২-০ ব্যবধানে সিরিজে এগিয়ে যাওয়ায় শেষ ওয়ানডেটি হয়ে পড়েছে নিয়ম রক্ষার। তবে ওয়ানডে সুপার লিগের কারণে সবগুলো ম্যাচই গুরুত্বপূর্ণ।
বাংলাদেশ-ওয়েস্ট ইন্ডিজের জন্য এটিই প্রথম ওয়ানডে আইসিসি সুপার লিগ সিরিজ। ২০ পয়েন্ট নিয়ে টেবিলে তৃতীয়স্থানে রয়েছে বাংলাদেশ। এখনো পয়েন্টে দেখা পায়নি ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
যদি তৃতীয় ওয়ানডে জিততে পারে, তবে ইংল্যান্ডকে সরিয়ে রান রেটে এগিয়ে থেকে টেবিলের দ্বিতীয়স্থানে উঠবে বাংলাদেশ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের কোচ ফিল সিমন্স বলছেন, হোয়াইটওয়াশ এড়িয়ে ১০ পয়েন্ট অর্জনই এখন তাদের প্রধান লক্ষ্য। তিনি বলেন, ‘৩০ পয়েন্টের জন্য এখানে আমরা এসেছি। এখনো আমাদের ১০ পয়েন্ট পাবার সুযোগ রয়েছে।’
তিনি আরো বলেন, ‘সবকিছু মিলিয়ে আমাদের উন্নতি হচ্ছে। আমরা ১২২ থেকে ১৪৮ রান করেছি। তবে আমাদের ২০০-২৫০ রান প্রয়োজন। তাই আমাদের প্রতিযোগিতামূলক হতে হবে। বোলাররা ভালো বল করতে পারলে, সেরাটা প্রদর্শন করতে পারলে অবশ্যই দশ পয়েন্ট পাওয়া সম্ভব।’
শীর্ষস্থানীয় ১২জন খেলোয়াড়কে ছাড়া বাংলাদেশ সফরে আসে ওয়েস্ট ইন্ডিজ। প্রথম দুই ম্যাচে ক্যারিবিয় দলের হয়ে সাত জনের অভিষেক হয়েছে। এদের মধ্যে আকিল হোসেন ও কেজর্ন ওটেলি ছাড়া কেউই নিজেদের সেরাটা দিতে পারেনি।
সিমন্সের মতে, ২০২৩ সালের বিশ্বকাপের জন্য দলকে আরও শক্তিশালী করার লক্ষ্যে নতুন খেলোয়াড়দের জন্য সেরা সুযোগ।
সিমন্স বলেন, ‘ বিষয়টি আমার চেয়ে দলের কাছে বেশি গুরুত্বপুর্ন। এই পর্যায়ে ছেলেরা কি করতে পারে, সেটিই দেখানোর সুযোগ। ওয়েস্ট ইন্ডিজের ওয়ানডে দল যখন সিরিজ খেলছে, তখন টেস্ট দল বসে নেই। সিমন্স জানান, তারা ইতোমধ্যে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নিয়েছে এবং দুই ম্যাচের সিরিজে ভালো ফলাফলের দিকে তাকিয়ে আছে।
টেস্ট সিরিজের প্রস্তুতি হিসেবে ২৯ জানুয়ারি থেকে চট্টগ্রামের এমএ আজিজ স্টেডিয়ামে তিন দিনের অনুশীলন ম্যাচ খেলবে সফরকারী ওয়েস্ট ইন্ডিজ।
সিমন্স বলেন, ‘ওয়ানডে দলের সাথে থাকা পাঁচজন বাদে অন্য দশজন কঠোর পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। অনুশীলন ম্যাচে দেখা যাবে তারা কোন পর্যায়ে আছেন।’
সূত্র : বাসস