spot_img

‘৬৯’র গণঅভ্যুত্থান ছিল ইতিহাসের মাইল ফলক’

অবশ্যই পরুন

১৯৬৯’র ২৪ জানুয়ারি গণঅভ্যুত্থান ছিল বাঙালি জাতির ইতিহাসের মাইল ফলক মন্তব্য করে বাংলাদেশ ন্যাপ মহাসচিব গোলাম মোস্তফা ভুইয়া বলেন, ৬৯-এর গণঅভ্যুত্থান ছিল স্বাধীন বাংলাদেশ প্রতিষ্ঠার সোপান।

১৯৬৯ সালের তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানে সামরিক জান্তা আইয়ুব খানের পুলিশের গুলিতে শহীদ হন ছাত্রনেতা আসাদ ও নবকুমার ইনস্টিটিউটের নবম শ্রেণীর ছাত্র মতিউর।

দীর্ঘদিন যাবৎ পশ্চিম পাকিস্তানের শোষণ-বঞ্চনার বিরুদ্ধে সংগ্রামরত বাংলার ছাত্র-শ্রমিক-কৃষক-জনতা বিক্ষোভে ফেটে পড়ে। সূচিত হয় মহান গণঅভ্যুত্থানের। শহীদ আসাদ-মতিউরের রক্তের স্রোতে পতন ঘটে আইয়ুব শাহীর।

রবিবার (২৪ জানুয়ারি) নয়াপল্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ২৪ জানুয়ারি ঐতিহাসিক গণঅভ্যুত্থান দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-বাংলাদেশ ন্যাপ আয়োজিত আলোচনা সভায় সভাপতির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, জাতীয় মুক্তি সংগ্রামের সে রক্তঝরা পথ ধরে আজকের এই স্বাধীন ও সার্বভৌম বাংলাদেশ, সে সবকিছু অর্জনের ড্রেস রিহার্সাল ছিল ’৬৯-এর মহান গণঅভ্যুত্থান-যা ইতিহাসের পাতায় স্বর্ণাক্ষরে লেখা আছে এবং থাকবে চিরদিন। মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীর নেতৃত্বে ১৯৬৯’র আন্দোলনের সফল পরিণতিতে বঙ্গবন্ধুকে ফাঁসি দেয়ার আইয়ুব খানের ষড়যন্ত্রমূলক পরিকল্পনা বানচাল হয়ে যায়।

ন্যাপ মহাসচিব বলেন, ‘৬৯-এর মহান গণআন্দোলনে বাংলার মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার বিষয়টিই মুখ্য ছিল। দেশের আপামর জনসাধারণের স্বার্থে পাকিস্তানের ভিত কাঁপিয়ে দিয়ে আইয়ুব খানের পতন ঘটিয়েছিল বাংলার জনগন।

সেই আন্দোলন ছিল প্রকৃতপক্ষেই জনগণের ভোটাধিকারসহ রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও সাংস্কৃতিক অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলন। ৬৯’র ২০ জানুয়ারি আসাদের মৃত্যুর মধ্য দিয়েই গণঅভ্যুত্থানের প্রেক্ষাপট সূচিত হয়। কবির ভাষায় সেই দিনের শ্লোগান ছিল ‘আসাদের রক্তমাখা শার্ট জাতির পতাকা’।

তিনি বলেন, ৬৯’র গণআন্দোলন ছিল জনগণের সার্বিক মুক্তির আন্দোলন। সে আন্দোলনের পথ বেয়ে পরবর্তীকালে সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মাধ্যমে এক সাগর রক্তের বিনিময়ে প্রতিষ্ঠিত হয় স্বাধীন-সার্বভৌম বাংলাদেশ। এই কারণেই আমাদের জাতীয় মুক্তিসংগ্রামের ইতিহাসে ‘৬৯-এর গণআন্দোলন এক গৌরবোজ্জ্বল অধ্যায়।

ন্যাপ মহাসচিবের সভাপতিত্বে আলোচনায় অংশ নেন বাংলাদেশ জাতীয় গণতান্ত্রিক লীগ সভাপতি এমএ জলিল, বাংলাদেশ সোশ্যাল একটিভিস্ট ফোরাম (বিএসএএফ) প্রধান সমন্বয়ক মুফতি মাসুম বিল্লাহ নাফিয়ী, জাতীয় স্বাধীনতা পার্টির চেয়ারম্যান মিজানুর রহমান মিজু, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, বাংলাদেশ ন্যাপ ভাইস চেয়ারম্যান স্বপন কুমার সাহা, সাংগঠনিক সম্পাদক মো. কামাল ভুইয়া, ঢাকা মহানগর সভাপতি মো. শহীদুননবী ডাবলু, সাধারন সম্পাদক অধ্যক্ষ নজরুল ইসলাম প্রমুখ।

সর্বশেষ সংবাদ

অন্তরঙ্গ দৃশ্যে অভিনয়, কটাক্ষের শিকার রুক্মিণী

ওপার বাংলা ভারতের কলকাতা, অভিনেত্রী রুক্মিণী মৈত্র পর্দায় ফিরছেন বিনোদিনী হিসেবে। সেই ছবি নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে আলোচনা চলছিল। আবার...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ