spot_img

ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় সকলকে জাগ্রত থাকতে হবে: মেয়র তাপস

অবশ্যই পরুন

দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো ষড়যন্ত্র মোকাবিলায় ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের প্রতিটি নেতাকর্মীদের জাগ্রত থাকার আহ্বান জানিয়ে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ সিটি কর্পোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেছেন, ৭৫’এর ১৫ আগস্ট আর বাংলাদেশে আসবে না, ১/১১ আর আসবে না। এটা কিন্তু মনে করা যাবে না। ষড়যন্ত্রকারীরা সারাজীবন ষড়যন্ত্র করবে। তারা সব সময় অশান্তি সৃষ্টির পায়তারা করে যাচ্ছে। এই বিষয়ে সকলকে সতর্ক ও জাগ্রত থাকতে হবে। এ জন্য সংগঠনকে আরো শক্তিশালী করতে হবে। নিজেদের মধ্যে বিভ্রান্তি ছাড়ানো যাবে না। মহানগর আওয়ামী লীগ যদি শৃঙ্খলবদ্ধ ও শক্তিশালী থাকে, তাহলে যে কোনো ষড়যন্ত্রই মোকাবিলা আমাদের জন্য সহজ হবে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যহত রাখতে পারব।

আজ শনিবার (২৩ জানুয়ারী)  রাজধানীর গুলিস্তানে অবিভক্ত ঢাকা মহানগর আওয়ামী লীগের সাবেক ভারপ্রাপ্ত  সভাপতি মরহুম এম .এ .আজিজ এর স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদকের নেতৃত্বের প্রশংসা করে তিনি বলেন, মহানগরের প্রতিটি ওয়ার্ড ও থানা তৃণমূল থেকে সংগঠনকে সাজাতে হবে। সংগঠনের শৃঙ্খলা প্রতিষ্ঠা করতে তৃণমূলের প্রতিটি ত্যাগী, পরিশ্রমী ও দক্ষ নেতাকর্মীদের মূল্যায়ন করতে হবে। তিনি আরো বলেন, দল ক্ষমতায় রয়েছে, অনেকেই সুযোগ নিতে দলে আসবে। কিন্তু এদের দলে স্থান দেয়া যাবে না। প্রতিটি অনুপ্রবেশকারীদের দল থেকে বিতারিত করতে হবে।

দেশের অভ্যন্তরে যে কোনো কান্তিলগ্নে যারা মাথা উঁচু করে দাড়াতে পারেন, মাঠের আন্দোলন সংগ্রামে আপোষহীন নেতৃত্ব দিতে পারে। সংগঠনকে সুসংগঠিত এবং বিতর্কমুক্ত রাখতে পারে। তারাই প্রকৃত নেতা ও রাজনীতিবিদ।  মরহুম এম .এ .আজিজ ছিলেন তাদের একজন। তিনি সবসময় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার রাজনৈতিক আদর্শ নিয়ে কাজ করতেন। সহজেই কর্মী ও সাধারণ মানুষকে বুকে টেনে নিতেন। নিয়মিত কর্মীদের খোঁজখবর নিতেন। সংগঠনের খোঁজখবর নিতেন। কোনো লোভ তাকে কখনো ছুঁতে পারেনি। তার সেই রাজনৈতিক দর্শন থেকে আমাদের সকলকে শিক্ষা নিয়ে আগামীর পথ চলতে হবে। এসময় দলীয় নেতাকর্মীদের বিতর্কিত কর্মকাণ্ড থেকে বিরত থাকার পরামর্শও দেন ঢাকা দক্ষিণ সিটির এই মেয়র।

মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপস বলেন, আমাকে যে গুরু দায়িত্ব দেয়া হয়েছে। ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীদের কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে কাজ করে যাবো এবং এই ঢাকাকে একটি উন্নত ঢাকা হিসাবে গড়ে তুলব। এ জন্য যা যা করণীয় আমরা সব করে যাব। এই দায়িত্ব পালনের জন্যই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আমাদের দায়িত্ব দিয়েছেন।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বৈশ্বিক মহামারি করোনা ভাইরাস মোকাবিলার প্রসংশা করে তিনি আরো বলেন, করোনা নিয়ে অনেকেই অনেক কথা বলেছেন। অনেক বিভ্রান্ত ছড়ানো হয়েছে। তারপরও কিন্তু করোনার টিকা দেশে পৌঁছে গেছে। এটাই বঙ্গবন্ধুকন্যা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বের গুণ। যে যাই বলুক না কেন, শেখ হাসিনা যা বলেন, তা করেন। তিনি আরো বলেন, করোনা মুক্ত জীবন কাটাতে হলে সবাইকে করোনা টিকা নিতে হবে। যারা টিকা নিয়ে বিভ্রান্ত ছড়াচ্ছে। এ বিষয়ে সকলকে সতর্ক থাকতে হবে। কেউ গুজবে কান দিবেন না।

স্মরণ সভা ও দোয়া মাহফিলে সভাপতির বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী বলেন, মরহুম এম .এ .আজিজ ছিলেন একজন ভদ্র রাজনীতিবিদ। তার হাত ধরেই মহানগর আওয়ামী লীগ সফল আন্দোলন-সংগ্রাম হয়েছে। মহানগরের রাজনীতিতে তার অবদান অসামান্য। অথচ  ১/১১ সরকারের সময় আওয়ামী লীগের অনেক বড় বড় নেতা ছিলেন। সেসময় তাদের খুঁজে পাওয়া যায় নাই।  কিন্তু তিনি নেতৃত্ব দিয়েছেন।  তিনি আরো বলেন, মরহুম এম .এ .আজিজ এর মধ্যে কোনো দিন এমপি-মন্ত্রী হওয়ার লোভ ছিল না। তিনি কখনও লোভের রাজনীতিই করতেন না। কিন্তু বর্তমান সবাই এমপি-মন্ত্রী হতেই রাজানীতি করেন।

আওয়ামী লীগের জন্ম কোনো রাজপ্রসাদে নয়, উল্লেখ করে মহানগর আওয়ামী লীগের সভাপতি আরো বলেন, যে কোনো অন্যায় ও অবিচারের বিরুদ্ধে আন্দোলন সংগ্রাম করার জন্যই আওয়ামী লীগের জন্ম হয়েছে। কোনো রাজপ্রাসাদ নয়, রাজপথেই আওয়ামী লীগের জন্ম।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির বলেন, মাঠের আন্দোলন সংগ্রামে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন মরহুম এম .এ .আজিজ। তিনি নির্লোভ রাজনীতিবিদ ছিলেন। বিএনপি-জামায়াত সরকারের সময়ে দলীয় কর্মসূচী বাস্তবায়নে তিনি গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেছেন।  ১/১১ সরকারের সময়ে নেত্রী মুক্তির আন্দোলন সামনে থেকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।  তিনি আরো বলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের জন্য তার যে অবদান, তা সারাজীবন উজ্জ্বল দৃষ্টান্ত হয়ে থাকবে।

মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের  সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফীর সভাপতিত্বে আরো উপস্থিত ছিলেন, মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি দিলীপ কুমার রায়, আব্দুস সাত্তার মাসুদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক কাজী মোরশেদ হোসেন কামাল, সাংগঠনিক সম্পাদক গোলাম আশরাফ তালুকদার,  কার্যনির্বাহী সদস্য  সালাউদ্দিন বাদল, মরহম  এম এ আজিজের সন্তান ওমর বিন আবদাল আজিজ তামিম, চকবাজার থানা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ইউনুস সুমন প্রমুখ।

এর আগে সকাল সাড়ে দশটায় রাজধানীর আজিমপুর কবর স্থানে তার সমাধিতে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন ঢাকা মহানগর দক্ষিণ আওয়ামী লীগের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা আবু আহমেদ মন্নাফী ও সাধারণ সম্পাদক মো. হুমায়ুন কবির। এসময় মহানগরের বিভিন্ন ইউনিটির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

সর্বশেষ সংবাদ

গুঞ্জন উড়িয়ে ম্যানসিটিতে আরও ২ বছর থাকছেন পেপ গার্দিওলা

গুঞ্জন ছিল ম্যানচেস্টার সিটি ছেড়ে ব্রাজিলের দায়িত্ব নিতে পারেন কোচ পেপ গার্দিওলা। কিন্তু ব্রাজিলিয়ান সমর্থকদের কষ্ট দিয়ে বৃহস্পতিবার (২১...

এই বিভাগের অন্যান্য সংবাদ