নিষেধাজ্ঞা কাটিয়ে মাঠে ফিরে ভালো সময় যায়নি সাকিব আল হাসানের। বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপে ব্যাটে-বলে কিছুই করতে পারেননি বাঁহাতি এই অলরাউন্ডার। ৯ ম্যাচে করেন ১১০ রান, সর্বোচ্চ ২৮ রানের ইনিংস। বল হাতে নেন ৬ উইকেট। তবে জাতীয় দলে ফিরতেই আগের সাকিবের দেখা মিলেছে।
ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে প্রথম ওয়ানডেতে স্পিন ভেল্কিতে মাত্র ৮ রান খরচায় ৪ উইকেট নিয়েছেন বাংলাদেশ অলরাউন্ডার। ব্যাট হাতে বড় ইনিংস না খেলতে পারলেও ব্যর্থ হননি তিনি, খেলেছেন ১৯ রানের ইনিংস।
দুঃসময়কে পেছনে ঠেলতে সাকিব যেন আন্তর্জাতিক ম্যাচকেই লক্ষ্য বানিয়েছিলেন। বড় মঞ্চে ফেরার দিনই ম্যাচসেরার পুরস্কার উঠেছে তার ঝুলিতে। তাহলে ঘরোয়া টুর্নামেন্টে কোথায় সমস্যা হচ্ছিল? ম্যাচ শেষে এমন প্রশ্নের উত্তরে সাকিব জানান, ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স গোনায়ই নেন না তিনি। এসব পারফরম্যান্স সাকিবের কাছে কোনো গুরুত্বই বহন করে না।
বাংলাদেশের হয়ে খেলাটাই তার কাছে শেষ কথা। সাকিব বলেন, ‘আমার লক্ষ্য ছিল সঠিক জায়গায় বল করে যাওয়া। আমি জানি উইকেট পাওয়ার ক্ষেত্রে বাকিটা এমনিতেই হয়ে যাবে। সত্যি বলতে আমি ঘরোয়া ক্রিকেটের পারফরম্যান্স গোনায় ধরি না। ড্রেসিং রুমের বাইরের মানুষ হয়তো সেই পারফরম্যান্স নিয়ে ভাবে। আমার মনে হয় আমি ব্যাটিং ভালোই করেছি, কিন্তু আউট হয়ে গেছি। আমাকে পরের খেলায় আরও ভাল করতে হবে।’
ঘরোয়া ক্রিকেটের ‘গুরুত্বহীন’ পারফরম্যান্স নিয়ে সাকিব আরও বলেন, ‘এগুলো আমার কাছে গোনায় আসে না। অন্তত আমার কাছে না। আপনারা করলে করতে পারেন। মনে হতে পারে, কিন্তু আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে না। আমার কাছে গুরুত্ব বহন করে আমি দেশের হয়ে প্রতিনিধিত্ব করি, কীভাবে করি। সেদিক থেকে খুশি। ম্যাচটা শেষ করে আসতে পারলে আরও ভালো লাগতো।’
করোনাভাইরাসের প্রকোপ সামলে দীর্ঘ ১০ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেললো বাংলাদেশ। জয় পেলেও শুরুতে ভয় কাজ করছিল বলে জানালেন সাকিব। বিশ্বসেরা এই অলরাউন্ডার বলেন, ‘দীর্ঘ সময় পর খেলতে আমরা সবাই নার্ভাস ছিলাম। কিন্তু এই জয় আমাদের পরবর্তী ম্যাচের আগে সুস্থির করবে।’
ব্যাটিংয়ে তিন নম্বর জায়গাটি ছেড়ে দিতে হয়েছে সাকিবকে। প্রিয় জায়গা হলেও এ নিয়ে আপত্তি নেই তার। দলের সিদ্ধান্তের প্রতি সম্মান আছে জানিয়ে সাকিব বলেন, ‘কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে। খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে তা সম্মান করতে হবে। আমি মানি আর না মানি, সেটা বড় কথা নয়। সব সময় আমি দলের হয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলগত অর্জন সব সময়ই বড় মনে হয়।’