প্রত্যাবর্তন ম্যাচে ৪৪ বলে ৩৬টি ডট, ওভারপ্রতি খরচা ১.০৯ রান ! শুধু কি সাকিবই ? ৩৬ বলের মধ্যে ২৭টি ডট দিয়েছেন মোস্তাফিজ, হাসান মাহমুদ ২৩টি,মিরাজ ২৬টি দিয়েছেন ডট ! বাংলাদেশ টিম ম্যানেজমেন্টের নির্দেশনা ছিল বেশি বেশি ডট বল করা।
সেই নির্দেশনার সুফল পেয়েছে বাংলাদেশ দল। ওয়েস্ট ইন্ডিজকে ব্যাটিংয়ে আমন্ত্রন জানিয়ে ১২২ রানে অল আউটের নেপথ্যে এই কৌশলটা কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন সাকিব-‘একটা টিম পরিকল্পনা করে যে যত বেশি ডট বল করা যায়। আমাদেরও খুব পরিকল্পনা ছিল যে ভালো জায়গায় বল করা এবং যত বেশি ডট বল করা।’
ওয়েস্ট ইন্ডিজের সেরা দলটাকে যখন টানা ৫ ম্যাচে হারিয়েছে বাংলাদেশ। তাদের ঘরের মাঠে ওয়ানডে সিরিজ,নিরপেক্ষ ভেন্যু আয়ারল্যান্ড, এমনকি ইংল্যান্ড বিশ্বকাপে হারিয়েছে সেরা দলটাকে, তখন কেন এই দলটিকে দিবেন পাত্তা। সেরাদের রেখে ওয়েস্ট ইন্ডিজ বাংলাদেশ সফরে এসেছে কি এই কারণে ? সাকিব সেই প্রশ্নটাই রেখে গেলেন- ‘হ্যাঁ ওদের ৬-৭ জন মূল খেলোয়াড় নেই। আর ওদের মূল দল যেটা আমরা বলছি সেটাকে আমরা বিশ্বকাপে হারিয়ে এসেছি। আবার ওদের দেশে হারিয়েছি। ওদের সেরা টিমটা ভালো করতে পারছে না বলেই হয়তো এই টিম পাঠিয়ে দিয়েছে। যেন বেটার রেজাল্ট করতে পারে।’
তবে বুধবারের উইকেট ওয়েস্ট ইন্ডিজের অনভিজ্ঞ দলের কাজটা কঠিন করে দিয়েছে বলে মনে করছেন সাকিব-‘আমরা সব সময় ওদের রেসপেক্ট করি। তারা ভালো ক্রিকেট খেলতে সামর্থ্যবান। আাজকের উইকেট কঠিন ছিল। হয়তো অভিজ্ঞতার কারণে বেটার ক্রিকেট খেলেছি। বাট তার মানে এই না যে আমরা সামনের দুই ম্যাচ আরামে জিতে যাবো। আমাদের হার্ড ওয়ার্ক করতে হবে।’
সর্বশেষ বিশ্বকাপে ৩ নম্বর পজিশনে ৬০৬ রান করেছেন, অথচ প্রত্যাবর্তন সিরিজে ৪ নম্বরে ব্যাটিং অর্ডার নির্ধারিত। তবে সিদ্ধান্তটা যে টিম ম্যানেজমেন্ট থেকে এসেছে,এবং দলের জন্য তা মেনে নিয়েছেন,তেমনটাই বলেছেন সাকিব- ‘দেখুন, কোচ, অধিনায়ক, টিম ম্যানেজমেন্ট একটা সিদ্ধান্ত নিয়েছে সেটা খেলোয়াড় হিসেবে আমাকে রেসপেক্ট করতে হবে। আমি অ্যাগরি করি বা ডিসঅ্যাগরি করি সেটা বড় কথা না। সব সময় আমি টিমের হয়ে খেলার চেষ্টা করি। আমার কাছে ব্যক্তিগত অর্জনের থেকে দলগত অর্জন সব সময়ই বড় মনে হয়। এটা বড় কোনো পার্থক্য করবে না মনে হয়।’