ইরানের নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে সর্ববৃহৎ যুদ্ধ জাহাজ। সমুদ্র সম্পদ রক্ষা এবং সমুদ্রে আধিপত্য রক্ষায় ইরানি নৌবাহিনীকে লজিস্টিক সাপোর্ট দেওয়ার জন্য এ জাহাজ ব্যবহৃত হবে এবং এতে হেলিকপ্টার বহন করা সম্ভব হবে। জাহাজটি সম্পূর্ণভাবে দেশীয় প্রযুক্তিতে তৈরি হয়েছে।
বুধবার (১৩ জানুয়ারি) ‘মাকরান’ নামের এ জাহাজটি আনুষ্ঠানিকভাবে ইরানি নৌবাহিনীতে যুক্ত হচ্ছে।
উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত থাকবেন ইরানের সামরিক বাহিনীর চিফ অব স্টাফের চেয়ারম্যান প্রধান মেজর জেনারেল মোহাম্মদ বাকেরি এবং সেনাবাহিনীর চিফ কমান্ডার মেজর জেনারেল আব্দুর রহিম মুসাভি।
ভারত মহাসাগরের উত্তরাঞ্চলে, এডেন উপসাগরের বাবুল মান্দেবে এবং লোহিত সাগরের মতো এলাকায় ইরানের সামরিক বাহিনীর অভিযানের সময় এই জাহাজ লজিস্টিক সাপোর্ট দেবে। এ ধরনের জাহাজকে ভ্রাম্যমাণ বন্দর বলা হয় এবং এমন সামুদ্রিক অভিযানের সময় জাহাজ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে থাকে।
জাহাজটির ডেকে হেলিকপ্টার, গানশিপ এবং ড্রোন ওঠানামা করতে পারবে। এছাড়া, নৌবাহিনীর জন্য হোভারক্রাফট থেকে শুরু করে বিভিন্ন ধরনের নৌযান বহন করতে পারবে। উত্তাল সমুদ্রের মারাত্মক প্রতিকূল অবস্থার ভেতরেও এ জাহাজ তার মিশন চালাতে পারবে।
আজকের অনুষ্ঠানে ইরানি নৌবাহিনীতে আরও একটি ক্ষেপণাস্ত্রবাহী ডেস্ট্রয়ার যুক্ত হবে। এই জাহাজ যেমন দ্রুতগতি সম্পন্ন হবে, তেমনি যুদ্ধ ক্ষমতাও থাকবে বেশী।