বিশাল আকারের কৃত্রিম উপগ্রহের পাশাপাশি ক্ষুদ্র অথচ দক্ষ স্যাটেলাইট একাধিক ক্ষেত্রে বিপ্লব আনতে পারে বলে ধরে নেওয়া হচ্ছে। সে কথা বিবেচনায় রেখে নেওয়া হচ্ছে পদক্ষেপ।
ডয়চে ভেলের এক প্রতিবেদনে বলা হয়, মহাকাশ প্রযুক্তি নতুন ও ভবিষ্যৎ প্রযুক্তির চাবিকাঠি। ইউরোপীয় ইউনিয়নের প্রায় ১০ শতাংশ অর্থনৈতিক কার্যকলাপ ইতিমধ্যেই স্যাটেলাইট ন্যাভিগেশনের ওপর নির্ভর করে।
২০১৪ সালে ইইউ কোপার্নিকাস কর্মসূচি চালু করে। জনগণের অর্থে চালিত এই উদ্যোগের আওতায় একাধিক স্যাটেলাইট নির্দিষ্ট কক্ষপথ থেকে পৃথিবী পর্যবেক্ষণ করছে। তাদের পাঠানো তথ্য নতুন এ্যাপ্লিকেশন সৃষ্টির কাজে লাগানো হচ্ছে।
যেমন; জাহাজে জ্বালানির সাশ্রয় বাড়ানোর সফটওয়্যার তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রযুক্তির বদৌলতে বাড়ছে কর্মসংস্থানও। তবে কোপার্নিকাস প্রকল্পের স্যাটেলাইটগুলো খুব বড় ও ভারী। ওজন কয়েক টন পর্যন্ত হতে পারে। তৈরি করতে অনেক বছর সময় লাগে। প্রত্যেকটি স্যাটেলাইট অনবদ্য।
অনেক যন্ত্রাংশ বা উপাদান বিশেষভাবে তৈরি করতে হয়। সে কারণে এমন স্যাটেলাইট বেশ দামি হয়। একটি স্যাটেলাইটের মূল্য কয়েক কোটি ইউরো হতে পারে। সে তুলনায় মিনি স্যাটেলাইটের দাম অনেক কম। আকারে ওয়াইনের বোতলের মতো ছোট হতে পারে।
ছোট আকারের স্যাটেলাইটের আবির্ভাবের ফলে নতুন এক যুগের সূচনা হয়েছে। দাম অনেক কম হলেও সেগুলো গুরুত্বপূর্ণ পরিষেবা দিতে পারে। গোটা ইউরোপে ছাত্রছাত্রীরা এমন ছোট ডিভাইস তৈরির কাজ শিখছেন। ন্যানো স্যাটেলাইট এক ধরনের ছোট স্যাটেলাইট।
বার্লিনের প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের এক টিম বেশি পরিমাণ ডেটা ট্রান্সফার সম্ভব করতে চারটি এমন স্যাটেলাইট কাজে লাগাচ্ছে। দুই বছর আগে সেগুলো কক্ষপথে পাঠানো হয়। পৃথিবীর ওপর নজর রাখার কাজে ও বিশ্বজুড়ে যোগাযোগের ক্ষেত্রে ছোট স্যাটেলাইট বিপ্লব আনতে পারে।
এমনিতে পুরোনো স্যাটেলাইটের জঞ্জালে ভরে গেছে পৃথিবীর উপরিভাগের অনেকটাই। এ কারণে দেখা দিয়েছে শঙ্কা। সে ক্ষেত্রে খুদে স্যাটেলাইট নতুন যুগে নিয়ে যাবে ভবিষ্যৎ প্রযুক্তিকে। এ ছাড়া অনেকেই ধাতুর বিকল্প খুঁজছেন আজকাল। ইতিমধ্যে জাপানে শুরু হয়েছে কাঠে তৈরি স্যাটেলাইট নিয়ে গবেষণা।