এই মাসের শেষ দিকে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে হোম সিরিজ বাংলাদেশের। তিনটি ওয়ানডে ও দুটি টেস্ট খেলবে দুটি দল। এই সিরিজ দিয়ে প্রায় এক বছর পর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলতে নামবেন তামিম ইকবালরা। দীর্ঘ বিরতির পর মাঠে নামার কারণে উদ্বেগ থাকছেই। তবে বিসিবি প্রেসিডেন্টস কাপ ও বঙ্গবন্ধু টি-টোয়েন্টি কাপ খেলার কারণে প্রস্তুতির সুযোগ পেয়েছে ক্রিকেটাররা। ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুকের বিশ্বাস, ফিল্ডিংয়ে চ্যালেঞ্জ নিতে ছেলেরা প্রস্তুত।
প্রেসিডেন্টস কাপে ওয়ানডে খেলেছিল মাহমুদউল্লাহ-তামিমরা। আর বঙ্গবন্ধু কাপে খেলেছে কুড়ি ওভারের ক্রিকেট। একদিনের ক্রিকেট দিয়ে ২০ জানুয়ারি আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলতে যাচ্ছে বাংলাদেশ। ক্রেইগ ব্যাথওয়েট বাহিনীর বিরুদ্ধে ফিল্ডিংয়ের প্রস্তুতি নিয়ে সোমবার কথা হলো কুকের সঙ্গে। মিরপুরে তিনি সাংবাদিকদের বলেছেন, ‘আমার মনে হয় তারা বেশ কিছু প্রস্তুতি ম্যাচ পেয়েছে ওয়ানডে এবং টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্ট খেলে। পঞ্চাশ ওভারের টুর্নামেন্টের সময় আমি এখানে ছিলাম এবং সেখানে তাদের ফিল্ডিং খুবই প্রশংসনীয় ছিল। সবাই বেশ সুস্থ, সতেজ এবং প্রস্তুত থাকার কথা।’
উইন্ডিজ চ্যালেঞ্জ ভালোভাবে ফিল্ডাররা মোকাবিলা করতে পারবে বিশ্বাস কুকের, ‘আমার মনে হয় ফিল্ডিং সাদা বল কিংবা লাল বল উভয় ক্ষেত্রেই পার্থক্য গড়ে দেয়। অবশ্যই ওয়ানডে ও টি-টোয়েন্টিতে এটি বেশি গুরুত্বপূর্ণ, কিন্তু তার মানে এই না যে টেস্টে ফিল্ডিংয়ের গুরুত্ব কম। খেলার সব দিক বিবেচনায় এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ওয়ানডেতে আপনি ক্যাচিং, থ্রোয়িং, গ্রাউন্ড ফিল্ডিং- সব ক্ষেত্রেই পুরো ৫০ ওভার ধরে চাপে থাকবেন। আমি সেই চ্যালেঞ্জটির জন্য মুখিয়ে আছি এবং আমি নিশ্চিত যে ছেলেরাও প্রস্তুত আছে।’
খুব সতর্ক থেকে খেলোয়াড়দের প্রস্তুত করা হচ্ছে জানালেন ফিল্ডিং কোচ। রোববার থেকে এই সিরিজের অনুশীলন শুরু করেছে ক্রিকেটাররা। কুক তার পরিকল্পনার কথা জানালেন, ‘খেলোয়াড়রা টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টের পর একটি বিরতি থেকে ফিরেছে। তাই তাদেরকে ধীরে ধীরে অনুশীলনের মধ্যে ফিরিয়ে আনছি, মাঠে তাদের মুভমেন্ট ও বেসিকের ওপর কাজ করছি, তাদের থ্রোয়িংকে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি যেহেতু বেশ কিছু সময় পর তারা ফিরছে। কিছু ক্ষেত্রে আপনি একটু অনভ্যস্ত হয়ে গিয়ে চোট পেতে পারেন। তাই তাদেরকে ধীরে ধীরে আগের জায়গায় আনার চেষ্টা করছি। সিরিজের কাছাকাছি আসতে আসতে আমরা অনুশীলনের তীব্রতা বাড়াবো।’
ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের দিকে বিশেষ নজর কুকের, ‘আমার মনে হয় তাদের মধ্যে দারুণ প্রাণশক্তি আছে। তারা তাদের ফিল্ডিং নিয়ে পরিশ্রম করছে। তারা অতিরিক্ত কাজ করতে চাচ্ছে এবং দারুণ চেষ্টা করছে, যেটা আমি পছন্দ করি। তাদের টেকনিক নিয়ে অনেক কাজ করতে হবে, বিশেষ করে ক্যাচিং ও গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের কিছু দিক নিয়ে। কিন্তু সাধারণত তাদের থ্রোয়িং বেশ ভালো, তাই আমি আশা করছি যে তাদের যে উন্নতি করার এই উৎসাহ তা তাদের আগামী দুই বছরে উন্নতি করতে সাহায্য করবে।’