কানাডার কুইবেক প্রদেশে করোনাভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি ও হাসপাতালে রোগীর চাপ কমাতে কারফিউ জারি করেছে কর্তৃপক্ষ। একইসঙ্গে উচ্চবিদ্যালয় এবং ব্যবসা প্রতিষ্ঠানও বন্ধ করে দেয়া হয়েছে। কুইবেক সরকার স্থানীয় সময় শনিবার (৯ জানুয়ারি) থেকে ৮ ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত আরও ৪ সপ্তাহ রাত ৮টা থেকে ভোর ৫টা পর্যন্ত কারফিউ জারির আদেশ দিয়েছে। কারফিউ অমান্য করলে কমপক্ষে একহাজার ডলার থেকে ছয়হাজার ডলার পর্যন্ত জরিমানা করা হবে।
এই লকডাউন চলাকালে নিত্যপ্রয়োজনীয় ছাড়া সকল ব্যবসাপ্রতিষ্ঠান বন্ধ থাকবে। সকল রেস্তোঁরা, জিম এবং থিয়েটারও বন্ধ থাকবে।
কুইবেকের প্রিমিয়াম ফ্রেঁওয়েস লেগাল্ট বলেন, ‘কারফিউয়ের মূল কারণ হলো জনগণের একসাথে হওয়া রোধ করা। মানুষ দূরত্ব বজায় রেখে চলতে পারলেই এই মহামারি প্রতিরোধ করা সম্ভব হবে।’
গত শুক্রবার এক টুইট বার্তায় প্রদেশের জননিরাপত্তা মন্ত্রী জেনেভিভ গিল্বল্ট জানিয়েছেন, ‘পুলিশ এই সপ্তাহ শেষে খুব দৃশ্যমান হবে। ঘরে বসে থাকি, জীবন বাঁচাই।’
কুইবেক ছাড়াও কানাডার বিভিন্ন প্রদেশে করোনা দ্রুত বৃদ্ধি পাচ্ছে। অন্টারিও প্রদেশে গত ডিসেম্বরের ২৬ তারিখ থেকে জানুয়ারির শেষ পর্যন্ত লকডাউন চলছে। এই লকডাউন আরো বাড়ানো হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
কুইবেক শহরে ১৯১৮ সালে স্প্যানিশ ফ্লু ভাইরাসের সময় প্রথম কারফিউ জারি করা হয়েছিল।
সর্বশেষ তথ্য অনুযায়ী, কানাডায় করোনা ভাইরাসে আক্রান্তের সংখ্যা ৬ লাখ ৫২হাজার ৪৭৩ জন। এদের মধ্যে মৃত্যুবরণ করেছেন ১৬ হাজার ৮৩৩ জন এবং সুস্থ হয়েছেন ৫ লাখ ৫২ হাজার ৩৮৮ জন।