সংযুক্ত আরব আমিরাতে (ইউএই) ঘুরতে আসা ইসরাইলি পর্যটকরা হোটেল কক্ষ থেকে জিনিসপত্র চুরি করছে। ইসরাইলি দৈনিক ইদিওথ আহরোনথ এ খবর প্রকাশ করেছে।
একজন ইসরাইলি ব্যবসায়ী বলেন, ‘আমি অনেক বছর ধরে সংযুক্ত আরব আমিরাতকে দেখছি। আমি সেখানে ব্যবসা করছি। গত মাসে আমি যে হোটেলে থাকি সে হোটেলে পৌঁছে হোটেল লবিতে একটি ঘটনা দেখে আতঙ্কিত হই। সেখানে হোটেল কক্ষ থেকে চুরি যাওয়া জিনিসপত্রের জন্য ইসরাইলিদেরকে তল্লাশি করা হচ্ছিল।’
ইসরাইল থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে নতুন নিয়মিত পরিষেবার অংশ হিসেবে প্রথম বাণিজ্যিক যাত্রীবাহী বিমান আসার এক মাসের মধ্যে ইসরাইলি পর্যটকদের বিরুদ্ধে হোটেল থেকে জিনিসপত্র চুরির অভিযোগ আসে।
বিশ্বের সবচেয়ে বড় ভবন বুর্জ খলিফার পর্যবেক্ষক এক হোটেলের ম্যানেজার বলেন, ‘আমাদের এখানে বিশ্বের বিভিন্ন দেশের শত শত পর্যটক আসে। মাঝে মধ্যে তাদের কেউ কেউ সমস্যার সৃষ্টি করে। তবে এর আগে কখনো জিনিসপত্র চুরি করতে দেখিনি।’
‘সম্প্রতি আমরা দেখলাম হোটেলে আসা ইসরাইলি পর্যটকরা তাদের ব্যাগ ভর্তি করে। তারা তোয়ালে, চা ও কফি ব্যাগ, এমনকি বাতি পর্যন্ত চুরি করে।’
তিনি আরো যোগ করেন, এক সময় এক ইসরাইলি পরিবার দু’টি বাচ্চা নিয়ে হোটেল থেকে বিদায় (চেক-আউট) নেয়ার জন্য আসে। আমরা লক্ষ করলাম হোটেল রুমে কিছু জিনিসপত্র নেই। যখন হোটেল কর্মচারীরা তাদেরকে রুমের জিনিসপত্র হারিয়ে যাওয়ার বিষয়টি জানাতে গেলে তারা চিৎকার-চেঁচামেচি শুরু করে।
‘কথাবার্তার এক পর্যায়ে তারা তাদের ব্যাগ খুলতে রাজি হয়। তখন আমরা তাদের ব্যাগে বরফের পাত্র, হ্যাংগার ও ফেস তোয়ালে খুঁজে পাই। আমরা পুলিশকে জানানোর কথা বললে তারা জিনিসগুলো ফেরত দিতে রাজি হয় ও ক্ষমা চায়।’
কাতারি উপস্থাপক ড. আবদ আল-আজিজ আল-খাজরাজ আল-নাসারি একটি ভিডিও প্রকাশ করেছেন। ভিডিওতে তিনি দাবি করেন, আমিরাতের বেশ কয়েকজন হোটেল মালিক তাদের কাছে ধরা পড়া বিভিন্ন চুরির বিস্তারিত ঘটনা জানিয়েছেন।
সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হওয়া ভিডিওটিতে তিনি সতর্ক করেন, ‘তাদের জেনে রাখা উচিত ইসরাইলের সাথে সম্পর্ক স্বাভাবিকীকরণের মানে আপাতত রুমের জিনিসপত্র ছেড়ে দেয়া, এবং সম্ভবত পরে ভূমিও ছেড়ে দিতে হবে।’
সেপ্টেম্বরের ১৫ তারিখে হোয়াইট হাউসে একটি বিতর্কিত চুক্তি স্বাক্ষরের মাধ্যমে সংযুক্ত আরব আমিরাত ও ইসরাইল পূর্ণ কূটনৈতিক, সাংস্কৃতিক এবং বাণিজ্যিক সম্পর্ক স্থাপনে সম্মত হয়।
সূত্র : মিডলইস্ট মনিটর