জাতীয় পার্টি চেয়ারম্যান ও বিরোধী দলীয় উপনেতা গোলাম মোহাম্মদ কাদের বলেছেন, করোনার টিকা আবিস্কার হলেও এটা নিয়ে দেশের মানুষের উৎকন্ঠা কমছে না। দেশের মানুষ জানেনা, কবে এবং কিভাবে তারা টিকা পাবেন।
বৃহস্পতিবার (৭ জানুয়ারি) রাজধানীর বিজয় নগর এলাকায় হোটেল চুংওয়াহ মিলনায়তনে এক মতবিনিময় সভায় এসব কথা বলেন তিনি।
জিএম কাদের বলেন, “ভারতের সাথে তিন থেকে পাঁচ কোটি টিকার জন্য সরকার চুক্তি করেছে। তাতে দেড় থেকে আড়াই কোটি মানুষ হয়তো টিকা পাবে। কিন্তু বাকী ১৫/১৬ কোটি মানুষ কিভাবে টিকা পাবে তা কেউই জানেনা। আবার নতুন ধরনের করোনা আবিস্কার হয়েছে। এর বিস্তার বেড়ে গেলে দেশের মানুষের অবস্থা ভয়াবহ হবে।”
তিনি বলেন, “জেলা ও বিভাগীয় শহরে করোনার কোন চিকিৎসা নেই। রাজধানীর সরকারী ২/১টি হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা আছে। আর বেসরকারী পর্যায়ে বেশ কিছু হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা রয়েছে। কিন্তু তা এতই ব্যয়বহুল যে সাধারন মানুষের পক্ষে বেসরকারী হাসপাতালে করোনার চিকিৎসা নেয়া সম্ভব নয়।”
তিনি বলেন, “করোনা প্রকিরোধে টিকা সরবরাহ, পরিবহন ও বিতরণে কি ব্যবস্থা সরকার নিয়েছে তা কেউ জানেনা। কারা অগ্রাধিকার ভিত্তিতে টিকা পাবে তারও কোন নীতিমালা আছে বলে আমাদের জানা নেই। ভেজাল খাবার, দুষিত পানি ও বায়ুর সাথে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে বেঁচে দেশের মনুষের শরীরে সহনশীলতা সৃষ্টি হয়েছে। তাই করোনায় দেশে মৃত্যুর হার অনেক কম।”
এসময় বক্তৃতা করেন- জাতীয় পার্টির প্রেসিডিয়াম সদস্য ও সিলেট বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এটিইউ তাজ রহমান, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও ঢাকা বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব লিয়াকত হোসেন খোকা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য ও চট্টগ্রাম বিভাগীয় অতিরিক্ত মহাসচিব এড. রেজাউল ইসলাম ভুইয়া, চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা জহিরুল আলম রুবেল, নাজনিন সুলতানা, ভাইস চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম মধু, সাংবাদিকদের মধ্যে বক্তৃতা করেন, জাতীয় প্রেস ক্লাবের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক আশরাফ আলী, ইন্ডিপেনডেন্ট টেলিভিশনের প্রধান বার্তা সম্পাদক আশীষ সৈকত, দৈনিক ইত্তেফাক এর জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক শামসুদ্দিন আহমেদ, দৈনিক যুগান্তরের বিশেষ প্রতিনিধি শেখ মামুনুর রশীদ, বার্তা টুয়েন্টি ফোর এর বিশেষ প্রতিনিধি সেরাজুল ইসলাম, দৈনিক জনকন্ঠ এর জৈষ্ঠ্য প্রতিবেদক রাজন ভট্টাচার্য, দৈনিক যুগান্তরের সিনিয়র রিপোর্টার সিরাজুল ইসলাম।