ছোট পর্দার উঠতি অভিনেত্রী আশা চৌধুরীর মৃত্যুর পূর্বের আড়াই ঘণ্টার হিসেব মিলছে না তার পরিবারের কাছে। আশার পরিবার জানায় প্রথমে গাজীপুরের বোর্ড বাজার এলাকা থেকে বাসায় ফিরার কথা থাকলেও সোমবার রাত ১১টার দিকে আশা রাজধানীর বনানী এলাকা থেকে বাসার পথে রওয়ানা হয়েছে বলে সর্বশেষ পরিবারকে জানায়।
পরিবার জানায়, বনানী থেকে কালশী হয়ে রাত সাড়ে ১১টা নাগাদই মিরপুর রূপনগর আবাসিক এলাকায় আশার বাসায় পৌছানোর কথা ছিল। আশা বাসায় আসছে ভেবে তারা আর আশার ফোনে ফোন দেয়নি। তারপর সোমবার দিবাগত রাত ২টার দিকে আশাকে বহনকারী মটরসাইকেলের চালক ও আশাদের দুসম্পর্কের আত্মীয় শামীম আশার মাকে ফোন দিয়ে বলেন, ‘আন্টি, একটু টেকনিক্যাল মোড়ে আসেন।’ কিছুক্ষণ পরে শামীম আবার ফোন দিয়ে বলেন, ‘আন্টি আশা আর নেই, মারা গেছে।’
আশার মামা দুলাল জানান, শামীম পুলিশের সাথে তিন রকম কথা বলেছে। আশা কালশী রোড হয়ে ফেরার কথা থাকলেও টেকনিক্যাল মোড়ে কিভাবে গেল তার উত্তরে শামীম জানায় তারা পথ ভুলে সেদিকে গিয়েছিলেন। পুলিশের কাছে শামীম জানায় আশা রাস্তা পার হতে গিয়ে ট্রাক চাপা পরেছে। কিন্তু ক্যামেরার ফুটেজে দেখা যায় মোটরসাইকেলে থাকা অবস্থায়ই আশাকে বহনকারী মোটরসাইকেলকে ধাক্কা দেয় ট্রাক আর তাতেই মটরসাইকেল থেকে ছিটকে পরে আশা।
আশার মামা দুলাল জানান, ‘আমাদের সন্দেহ শামীম আশাকে নেশাজাতীয় কিছু খাইয়েছিল। কারণ, আশা সুস্থ থাকলে মটরসাইকেলে শামীমকে ধরে বসত। আশার রাস্তায় ছিটকে যাওয়ার পর সে আশাকে একবারও ধরে নাই। দুর্ঘটনার আগে শামীম আড়াই ঘণ্টা কীভাবে রাস্তায় ঘুরেছে, তার সঠিক উত্তর দিতে পারে নাই। সন্দেহ হওয়ায় তাকে প্রধান আসামি ও অজ্ঞাত ট্রাকচালকের নামে মামলাটি করেছি।’
মামলার বিষয়ে দারুস সালাম জোনের সহকারী পুলিশ কমিশনার মিজানুর রহমান জানান, দুর্ঘটনায় আশা নিহত হবার ঘটনায় আশার বাবা শামীমকে প্রধান অভিযুক্ত করে মামলা করেন। অভিযুক্ত শামীম আশাদের পূর্বপরিচিত ছিল। মামলায় শামীমসহ আরও চারজনকে অজ্ঞাত আসামি করা হয়েছে। তদন্ত করে মূল অপরাধীদের খুঁজে বের করার চেষ্টা চলছে।