আইনমন্ত্রী আনিসুল হক বলেছেন, “ই-প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে।”
মঙ্গলবার (৫ জানুয়ারি) বিচারকদের তৃতীয় ই-প্রকিউরমেন্ট বিষয়ক ভার্চুয়াল প্রশিক্ষণ কোর্সের উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে যোগ দিয়ে তিনি এ কথা বলেন।
মন্ত্রী বলেন, “জাতির পিতা যে সমৃদ্ধ বাংলাদেশের স্বপ্ন দেখেছিলেন, তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের সীমিত সামর্থ্যের যথাযথ ব্যবহার প্রয়োজন। বিষয়টি বিবেচনায় রেখে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। বাংলাদেশ ইতোমধ্যেই মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত হয়েছে। ২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত রাষ্ট্র পরিণত হওয়ার লক্ষ্যে সরকার ডিজিটাল পদ্ধতিতে দ্রুত এবং সহজে জনগণের দোরগোড়ায় সেবা পৌঁছে দেয়ার কাজ চালিয়ে যাচ্ছে। রাষ্ট্র ব্যবস্থায় ই-গভর্নেন্স ধারণা চালু করার পাশাপাশি দেশের সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে ডিজিটাল পদ্ধতিতে নিজেদের কর্ম সম্পাদনে উদ্বুদ্ধকরণে সরকার বদ্ধপরিকর।”
আনিসুল হক বলেন, “এসডিজির অন্যতম লক্ষ্যমাত্রা হলো সাসটেইনেবল ই-গভর্নেন্স ই-প্রাকিউরমেন্ট। সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাকে অধিক স্বচ্ছ ও জনমুখী করার লক্ষ্যে গত ১০ বছরে সরকারি ক্রয় কার্যক্রমে নানা সংস্কার বাস্তবায়ন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর ডিজিটাল বাংলাদেশের রূপকল্প বাস্তবায়নের অংশ হিসেবে সরকারি ক্রয়ে ই-প্রাকিউরমেন্ট পদ্ধতি চালু হয়েছে। যার মাধ্যমে দক্ষতা, স্বচ্ছতার পাশাপাশি বেড়েছে প্রতিযোগিতা। বিচারকদের বিচারের পাশাপাশি বিভিন্ন সরকারি ক্রয় কাজের সঙ্গে জড়িত থাকতে হয়। যে প্রশিক্ষণ শুরু হচ্ছে তার মাধ্যমে বিচারকগণ সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত আইনি কাঠামো, আধুনিক সরকারি ক্রয় ববস্থার সাংগঠনিক ব্যবস্থাপনা, পাবলিক প্রকিউরমেন্টের বিভিন্ন ধাপ এবং প্রকিউরমেন্টের প্লান ও প্রোসেস বিষয়ে মৌলিক ধারণা পাবেন।”
তিনি বলেন, “বিদ্যমান আইন ও বিধিমালা সঠিকভাবে অনুসরন করে দক্ষতা ও স্বচ্ছতার সাথে সময়মতো সরকারি ক্রয় কার্যাবলি সম্পাদন করতে পারলে দেশে সুশাসন প্রতিষ্ঠা হয়। দুর্নীতি দূর করে সকল সেক্টরে স্বচ্ছতা ও জবাবদিহীতা নিশ্চিতকরণে বর্তমান সরকারের অন্যতম লক্ষ্য। অনেকসময় এনালগ পদ্ধতিতে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত বিষয়ে দুর্নীতির সুযোগ থাকে। সরকারের ই-প্রকিউরমেন্ট দুর্নীতি হ্রাস করবে। দ্রুত সময়ে সঠিক আইটেম সঠিক দামে পাওয়ার ক্ষেত্রে প্রকিউরমেন্টের গুরুত্ব অপরিসীম। বিচারবিভাগসহ দেশের সকল সেক্টরে ই-প্রকিউরমেন্ট ব্যবস্থার যথাযথ বাস্তবায়ন করা সম্ভব হলে সরকারি ক্রয় ব্যবস্থাপনায় জনগণের অংশগ্রহণ বাড়বে ও স্বচ্ছতা নিশ্চিত হবে বলে মনে করি।”
আইনমন্ত্রী বলেন, “শুধু সরকারি ক্রয়ের মধ্যে এই ট্রেনিং সীমাবদ্ধ থাকবে না। যখন বিচারকরা প্রশিক্ষণে এসেছে তাদের মনে রাখতে হবে সরকারি অফিসে যে দুর্নীতি হতে পারে এবং দুর্নীতি দমন কমিশন যেসব মামলা করতে পারে সেখানেও কিন্তু ই-প্রকিউরমেন্টের কথাটা আসতে পারে। এবং বিচারিক কাজে তখন এই প্রশিক্ষণ কাজে আসবে।”