Home বর্হিবিশ্ব পশ্চিমবঙ্গে মমতার বৈঠকে এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে মমতার বৈঠকে এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গ

পশ্চিমবঙ্গে মমতার বৈঠকে এমপি আনার হত্যা প্রসঙ্গ

ভারতের পশ্চিমবঙ্গে হকার সমস্যা নিরসনে রাজ্যের সচিবালয় নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জির ডাকা বৈঠকে উঠে এসেছে ঝিনাইদহ-৪ আসনের এমপি আনোয়ারুল আজীম আনার হত্যা প্রসঙ্গ। মমত্মতার দাবি বাইরের মানুষ অর্থ দিয়ে কলকাতাসহ রাজ্যের বিভিন্ন স্থানে যত্রতত্র বসে যাওয়ার কারণে একদিকে যেমন গাড়ি চলাচল করতে পারছে না এবং দুর্ঘটনা ঘটছে, অন্যদিকে শহরের গতিও কমছে। একইসঙ্গে রাজ্যের আইডেন্টিটিও নষ্ট হচ্ছে বলে করেন মমতা।

তার কথায়, কে রাজ্যের আসল লোক সেটা ধরা যাচ্ছে না। ফলে রাজ্যের সেফটি এবং সিকিউরিটিও ব্যাহত হওয়ার আশঙ্কা থাকছে। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেন ‘এই তো দেখলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কীভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল।’

এদিন রাজ্যের সেফটি এন্ড সিকিউরিটি নিশ্চিত করাকে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান হিসেবে তার একমাত্র লক্ষ্য বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

বৃহস্পতিবার (২৮ জুন) রাজ্য সরকারের সচিবালয় নবান্নে হকার সমস্যার সমাধানের বৈঠক করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী। এ সময় উপস্থিত ছিলেন কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিমসহ রাজ্যের একাধিক মন্ত্রী, কলকাতার পুলিশ কমিশনার, প্রতিটি জেলার জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, নিউমার্কেট সহ কলকাতার বিভিন্ন হকার্স অ্যাসোসিয়েশন, বাজার কমিটির কর্মকর্তারা।

বৈঠক থেকে আলিপুর চিড়িয়াখানা চত্বরকে হকার মুক্ত করার আহ্বান জানিয়ে মমতা বলেন ‘চিড়িয়াখানার পাশে যারা বসেছিল, তারা ফুটপাতটা দখল করে নিয়েছে। পাশাপাশি রাস্তার মধ্যেও বসছিল। এতে দুর্ঘটনা ঘটবে, গাড়ি চলাচল করতে পারবেনা। যার জন্য ফুটওভার ব্রিজ করে দেয়া হয়েছে।’

এ সময় তিনি বলেন ‘লাখ লাখ লোক আসে চিড়িয়াখানায়। আমাকে তো সেফটি এবং সিকিউরিটিটাও দেখতে হবে। সবাই যে আসল লোক, সেটা আপনি কি করে জানলেন? এই তো দেখলেন, কিছুদিন আগে বাংলাদেশের একজন এমপি, কীভাবে তাকে নিয়ে এসে প্ল্যান করে খুন করল। খড়গপুরে গুলি চালিয়ে চলে গেল। এক্ষেত্রে আমি পুলিশও পরিবর্তন করতে পারছি না। কারণ বছরের প্রতিদিনই প্রায় নির্বাচন। সিস্টেমটাকেই ব্রেক করে দিচ্ছে।’